ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

চারশ বছর পর গ্যালিলিও...

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪:০৬, এপ্রিল ১৭, ২০১১
চারশ বছর পর গ্যালিলিও...

মহাবিজ্ঞানী গ্যালিলিও, যিনি প্রথম দাবি করেছিলেন সূর্য পৃথিবীর চারদিকে নয়, বরং পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘুরছে৷ কিন্তু এ ধারণা বাইবেলের বিরুদ্ধে যায় বলে সেদিন খ্রিষ্টীয় ধর্মগুরুরা তা মানতে চায়নি৷ গ্যালিলিও তার বিশ্বাস থেকে একটুও টলেননি। এ জন্য তাকে জুলুম-নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে।

ঘটনার দীর্ঘ চারশ বছর পর সেই গ্যালিলিওকে সম্মান জানালো ভ্যাটিকান৷ সূত্র: ডয়েচে ভেলে।

গ্যালিলিওকে সম্মান জানাতে ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ইতালির রোমে আমেরিকান অ্যাকাডেমিতে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ প্রদর্শনীর৷ ঠিক সেই জায়গাটিতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় যেখানে  ৪০০ বছর আগে গ্যালিলিও তার উদ্ভাবিত টেলিস্কোপটি সবাইকে দেখান। ১৪ এপ্রিল ছিল সেই বিশেষ দিনটির চারশ বছর পূর্তি৷

১৬১১ সালের ১৪ এপ্রিল এই প্রতিভাধর বিজ্ঞানী তার নিজের আবিষ্কৃত বিশেষ টেলিস্কোপটি সবার সামনে উন্মুক্ত করেন৷ এর মাধ্যমে তিনি ভেঙে দেন খ্রিষ্টীয় ধর্মগুরুদের বহুদিনের ব্যাখ্যা৷ গ্যালিলিও প্রমাণ করেন, যে মহাকাশে যেসব গ্রহ নক্ষত্র রয়েছে তারা পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে না, বরং তাদের নিজস্ব কক্ষপথ রয়েছে৷

গ্যালিলিও বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন এবং লক্ষ করেন যে সেগুলো বৃহস্পতি গ্রহকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে৷

গ্যালিলিওর এই নতুন তথ্য তখনকার ক্যাথলিক গির্জার ধর্মগুরুদের ভীষণভাবে অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ ধর্মদ্রোহী হিসেবেও তাকে আখ্যা দেওয়া হয়৷ কিন্তু পরবর্তীতে গির্জার ধর্মগুরুরা একসময় গ্যালিলিওর সূত্রকে মেনে নিতে বাধ্য হয়৷

ইতালিতে ১৫৬৪ সালে জন্ম নেওয়া বিজ্ঞানী গ্যালিলিও কেবল জোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে একজন গণিতবিদ, পদার্থবিদ ও দার্শনিক৷ ১৬৪২ সালে মারা যান তিনি৷ আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের এই জনককে নিয়ে স্টিফেন হকিং এর মন্তব্য, ‘আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মদানের জন্য অন্য যে কারোর চেয়ে গ্যালিলিওর অবদান বেশি৷’

বাংলাদেশ সময় ০৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।