বাঘে আর মহিষে এক ঘাটে জল খেলেও তারা কিন্তু মোটেও বন্ধু নয়। তেমনি সিংহ আর মহিষের চারণক্ষেত্র এক হলেও মহিষ দেখলেই সিংহের জিভে জল আসবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে উল্টোটাও তো হতে পারে! মহিষের তাড়া খেয়ে প্রাণভয়ে ছুটছে সিংহমামা! ব্যাপারটা কেমন বেখাপ্পা তাই না?
কথায় আছে একতাই বল। একতাই শক্তি। দলের মধ্যে একতা বজায় থাকলে কোনো অশুভ শক্তিই অপদস্থ করতে পারে না। একথাই যুগে যুগে প্রমাণিত হয়ে এসেছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সত্যিইতো! মানুষ হোক বা বন্যপ্রাণি- ঐক্যবদ্ধ হয়ে খুব সহজেই পরাজিত করা যায় বড় কোনো শক্তিকে। কেনিয়ার নারোকের মাসাই মারা প্রাণী সংরক্ষণ স্থানটিই তার নিদর্শন।
সবুজ প্রান্তরে শিকার আর শিকারি উভয়ে ছিল সেদিন। নৈশভোজের জন্য সিংহ দম্পতি এক মহিষকে প্রায় কব্জাই করে ফেলেছিল। কিন্তু দৃশ্যটি এড়ায়নি বাকি মহিষদের চোখ। এক ডজন মহিষ তেড়ে এসে বাঁচায় তাদের বন্ধুর প্রাণ।
পাল্টা ধাওয়া করে বনের রাজা ও তার রানীকে। এই চাঞ্চল্যকর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি সেখানে উপস্থিত দু’জন ফটোগ্রাফার।
বাবা! গণধোলাই খাওয়ার চাইতে লেজ গুটিয়ে পালানোই ভালো।
আলোকচিত্রী রিনাউড জানান, আমি সিংহের চোখে ভয় দেখেছি।
তিনি আরও জানান, আমরা দেখলাম যে সিংহ দু’টি মহিষটিকে মাটিতে শুইয়ে ফেললো। অমনি বাকি মহিষগুলো এসে তাদের ঠেলে ফেলে দেওয়া মহিষটিকে তুলে সিংহ আর সিংহীকে ধাওয়া করলো। প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলো তারা দু’জন।
পরাজিত সিংহ দম্পতি রয়ে গেল ক্ষুধার্ত!
বাংলাদেশ সময়: ০৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫