ঢাকা: নানা ব্যস্ততায় বেশিরভাগ মানুষই ঠিকমতো সকালের খাবার না খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়েন। এতে শরীরে থেকে যায় খাদ্যের চাহিদা ও পুষ্টির ঘাটতি।
যদিও আমরা গতানুগতিকভাবে সকালে হালকা নাস্তা, দুপুরে ও রাতে ভারী খাবার খাই। তবে এটি নিয়মের সম্পূর্ণ উল্টো ও ভুল পদ্ধতি।
সারারাত ঘুমানোর ফলে শরীরে প্রচুর পুষ্টির চাহিদা তৈরি হয়। আর সকালের খাবারে যদি পুষ্টির অপূর্ণতা থেকে যায়, তাহলে শরীর সহজেই বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে।
আপনার দিন যদি সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী, ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে হাফ লিটার পানি পান করুন। অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পর চা খান। সেক্ষেত্রে চায়ের সঙ্গে দু’টো কুকি (চিনি ছাড়া) খেতে পারেন। সাড়ে ৯টায় ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসুন। খেয়াল রাখুন, আপনার ব্রেকফাস্ট লিস্টে যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও প্রচুর পানি অবশ্যই থাকে। ব্রেকফাস্টে রাখুন ফল বা ফলের রস।
বেলা ১১টার দিকে খেতে পারেন একগ্লাস দুধ, ওটমিল বা একটি আপেল। এই গেল গোটা সকালের খাবারের রুটিন।
বর্তমান সময়ে ঘুম থেকে উঠেই সবাইকে ছুটতে হয় কাজের উদ্দেশ্যে। সেক্ষেত্রে তিন পর্বে ব্রেকফাস্টের নিয়ম মেনে চলা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। তাই আপনার মেন্যুতে এমন খাবার নিশ্চিত করুন, যা আপনার সারাদিনের শরীরের চাহিদা পূরণ করবে।
যারা ডায়েট করছেন তারা অনেকেই সকালে না খেয়ে থাকেন। এটা ঠিক নয়। ওজন ঠিক রাখতেও সঠিক ব্রেকফাস্টের প্রয়োজন। তাই সকালে ভারী খাবার, দুপুরে অপেক্ষাকৃত কম ও রাতে একেবারেই খালকা খাবার খান।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সুষম ব্রেকফাস্ট করেন তাদের মস্তিষ্ক খুব ভালো কাজ করে। ভালো ব্রেকফাস্ট বিপাকে সহায়তা করে বলে মনযোগ বাড়ায়।
ভুল ধারণা
অনেকে ব্রেকফাস্টে হালকা খাবার খান। এরপর সারাদিনে খান চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার। আবার অনেকেরই ধারণা, দিনের মধ্যভাগে ফ্যাটজাতীয় বা ভারী খাবার খেলে হাঁটাচলার মাধ্যমে মেদ জমতে পারে না। এটি ভুল ধারণা। বরং স্বাস্থ্যসম্মত ভারী ব্রেকফাস্ট খান। এতে করে অসময়ে খিদে লাগবে না, শরীরও পাবে তার যথাযথ শক্তি।
সময় বাঁচান
সঠিক ব্রেকফাস্টের জন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। ধীরে-সুস্থে খান। সময়ের অভাবে হয়তো সকালবেলা খাবার ঠিকমতো বানিয়ে নেওয়াও সম্ভব হয় না। তাই আগের রাতেই ডিম সেদ্ধ করে রাখতে পারেন। ঘরে হোয়াইট ব্রেড, পিনাট বাটার, দুধ, সালাদের উপকরণ রাখুন। তৈরি করে রাখতে পারেন সবজি। আর ফলমূলতো রয়েছেই আপনার ডাইনিং টেবিলে!
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৫
এসএস