ঢাকা: একটি বাড়ির দাম কতো হতে পারে? কতো লাখ টাকা বা কতো মিলিয়ন ডলার? দশ, বিশ, ত্রিশ চল্লিশ? কিন্তু যদি বলি, এক কাপ কফির দামে কেনা যাবে একটি বাড়ি, কারো বিশ্বাস কি হবে? অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি।
ইতালির ভূমধ্যসাগরের সিসিলি দ্বীপের পাহাড়ি বাড়িগুলোর দাম বর্তমানে এতোটাই কম।
মধ্য সিসিলির পাহাড়ি এ শহরের নাম গাঞ্জি। গমখেত ও কাঠের বাড়িতে ঘেরা শহরটি হলিডে রিসোর্ট সেফাল্যু থেকে দক্ষিণে মাত্র এক ঘণ্টা দূরত্বে অবস্থিত।
জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ও স্থান পরিবর্তনের ফলে বছরের পর বছর এখানকার বাড়িগুলো শূন্য পড়ে রয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসব শূন্য বাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে সুলভ মূল্যে। প্রতিটি বাড়ির দাম এক ইউরো। অর্থাৎ, বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ৮৫ টাকা! যেকোনো ভালো রেস্টুরেন্টে কফি খেলে এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা গুনতে হয়।
দ্বাদশ শতাব্দীতে গড়ে ওঠা এ শহরটিতে কয়েক দশক আগেও জনসংখ্যা ছিলো আশির কাছাকাছি। তবে বর্তমানে অনেকেই ছেড়ে গেছেন এই এলাকা। ফলে গাঞ্জির বর্তমান জনসংখ্যা এসে ঠেকেছে মাত্র আটে।
পাহাড়ি এ বাড়িগুলোর বেশিরভাগই পরিত্যক্ত ও বেওয়ারিশ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, স্থানীয়দের এসব বাড়ি পুনঃসংস্কার করার মতো সামর্থ্য নেই বললেই চলে। তাই অবস্থার উন্নতিতে স্থানীয় কাউন্সিল প্রায় বিশটি বাড়ি বিক্রি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিক্রয়মূল্য কম ধরা হলেও এসব বাড়ি বিক্রির জন্য বেশ কিছু নিয়ম আরোপ করেছেন কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। ।
প্রথমত, ক্রেতাদের অবশ্যই স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে তিন হাজার নয়শ’ ৭০ পাউন্ড অর্থৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা বাড়ির যথাযথ সংস্করণ করবে ও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাবে না। তবে বাড়ির যথাযথ ব্যবহার করলে স্থানীয় কাউন্সিল বিক্রির টাকা বাদে পুরো টাকাই ফেরত দেবে।
যেহেতু এসব বাড়িগুলো পুরোনো ও বেওয়ারিশ, সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের পাঁচ বছর সময় দেওয়া হবে বাড়িগুলোকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য।
বেওয়ারিশ বাড়িগুলোর ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে ২৮ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ, প্রায় ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
স্থানীয় কাউন্সিলর জানায়, এসব বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে মেঝে, বিদ্যুত ব্যবস্থা, পানি, প্লাস্টার ইত্যাদি সংস্করণের খরচা বাবদ এই টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
এএ