ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

শিক্ষকের কাণ্ডজ্ঞান!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
শিক্ষকের কাণ্ডজ্ঞান!

বর্ণবাদ বা হেইট কালচারের নানান রকম প্রকাশ আছে। কারো গায়ের বর্ণ, আকৃতি, পরিচয় বা কোনো জন্মগত ত্রুটি বা বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে নিয়ে ঘৃণা, বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গ প্রকাশের মধ্য দিয়ে এসবের উৎকট প্রকাশ ঘটে থাকে।

বাংলায় তাই এসব নিয়ে একটা চমৎকার নীতিবাক্য আছে: ‘কালাকে কালা আর খোঁড়াকে খোঁড়া বলে ব্যঙ্গ করতে হয় না। ’ কিন্তু সবাই কি আর নীতিবাক্য মেনে চলে? আর এমনধারা বিদ্বেষ যদি ঝরে কোনো গুরুজনের মুখে, তাহলে? এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা শহরের এক শিক্ষক। তা-ও আবার নার্সারি ক্লাশের ৪ বছর বয়সী একটা অবুঝ বাচ্চার প্রতি।

ওই বাচ্চাটার ‘দোষ’ সে জন্মগতভাবে বাঁহাতি। বাচ্চাটা বাঁ-হাতে লেখে বলে তিনি ওকে ‘শয়তানের চেলা’ বলে ঠাউরেছেন। এটা করেই তিনি ক্ষান্ত হননি; বাচ্চাটাকে তিনি বাঁ-হাতে লিখতে পর্যন্ত বারণ করে দিয়েছেন। কেননা তার অদ্ভুত যুক্তি, শয়তানই কেবল বাঁ-হাত ব্যবহার করে।

শিক্ষকের নামটি অবশ্য জানা যায়নি। তবে বাচ্চাটার নাম জেইড। জেইডের মা অ্যালিসা স্যান্ডস (৩০) এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রথমে তিনি ওকস এলিমেন্টারি স্কুলের ওই শিক্ষকের কাছে এহেন আচরণের ব্যাখ্যা চান। তখন ওই শিক্ষক তার ঠিকানায় একটা আস্ত নিবন্ধ পাঠিয়ে দেন। ওই নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বাঁ-হাত যারা ব্যবহার করে তারা সবাই অশুভ, দুর্ভাগা আর কুটিল হয়। শিক্ষক তার কাছে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন: ‘আরও কোনো প্রমাণ কি লাগবে আপনার?’

শিক্ষকের এহেন আচরণে হতবাক অ্যালিসা স্যান্ডস সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘তার একথায় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। এখনো যে কেউ এসব বিশ্বাস করে সেটা দেখে’।

অ্যালিসা স্যান্ডসও এতো সহজে ছেড়ে দেবার ছাড়ার পাত্রী নন। তিনি অভিযোগ করেছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। সে মোতাবেক শিক্ষক মশাইয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
জেএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।