ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

চলতি পথে গাড়িযুদ্ধ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৪৮, জুন ১৬, ২০১১
চলতি পথে গাড়িযুদ্ধ!

প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে অফিস থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে বাসায় ফিরছি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বিশ্বরোডের নর্দা মোড়ে পৌঁছুতেই একটি প্রাইভেট কার ও আমাদের গাড়ির মধ্যে ছোটখাটো ধাক্কা লাগলো।



দোষটা প্রাইভেট কারের হলেও চালকের আসন থেকে এক যুবক  উঠে এসে আমাদের গাড়িরচালককে আঘাত করবেন এমন সময় তিনি দেখেন ভেতরে অনেক লোক। তাই তা না করে আমাদের গাড়িচালককে ভালোভাবে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়ে চলে গেলেন।

দুটি গাড়ি আবার চলতে শুরু করা মাত্রই ওই প্রাইভেট কারচালক আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে বার বার আঘাত করতে থাকেন। একবার আঘাত লেগে আমাদের গাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি গাড়ির গতি বাড়িয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

যাবার সময় আমাদের গাড়ির সামনে তার শটগানটি ওপরে তুলে বারবার দেখাচ্ছিলেন। আমরাও পিছু নিলাম তার। কিন্তু হঠাৎই ডানে মোড় নিয়ে প্রাইভেট কারটি ঢুকে পড়ে বারিধারার দূতাবাস রোডে। এ সময় আমরা তার পিছু নিতে চাইলে বাধ সাধে যানজট। ধীরে ধীরে ওই গাড়িটি মিলিয়ে যায় অন্ধকারে।

দূতাবাস রোডের পুলিশ বক্সে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা এই কান্ড দেখেও পুরো নিশ্চুপ। যেন তারা কিছুই দেখেননি। পরে তাদের বিষয়টি জানালে এই বিষয়ে তাদের কোনও ভাবনা ছিল না বললেই চলে।

দেরি না করে আবারও শুরু হলো আমাদের বাসায় ফেরার পথচলা। পথের মাঝে আমাদের নানারকম অভিব্যক্তি।

কেউ বললেন, ‘ছেলেটাকে পেলে আজকে ছাড়তামই না। ’

আরেকজন বলে, ‘আমাদের যদি শটগান দিয়ে গুলি করতো তাহলে কি যে হতো!’

অন্যজন বলে, ‘গাড়ির নম্বরটা কিন্তু দেখা উচিত ছিল। ’

এভাবেই এক সময় আমরা আমাদের বাসায় পৌঁছে যাই। বাসায় বসে বসে ভাবি চলতি পথে গাড়িযুদ্ধটা ভালোই হলো।

আরিফুল ইসলাম আরমান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘন্টা, জুন ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।