সত্যিই হাস্যকর। বিশ্বে প্রথমবারের মত ‘পৃথিবীর সব চেয়ে হাস্যকর জাতি নির্বাচন’-এ সবাইকে পেছনে ফেলে সম্প্রতি এক ভোট জড়িপে সার্বিক বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর জাতির নির্বাচিত হয়েছে আমেরিকানরা।
ভোট যুদ্ধে ইতালী ও ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সব চেয়ে মজার জাতির তকমা পেয়েছে স্পেন।
সামাজিক ওয়েবসাইট বাডু ডট কম (www.badoo.com) ‘বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর ও সবচেয়ে কম হাস্যকর জাতি’ বিষয়ে পৃথিবীর ১৫টি দেশের ৩০ হাজার মানুষকে প্রশ্ন করে। এতে আমেরিকানরা বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর জাতি হিসেবে প্রথম, স্প্যানিশরা দ্বিতীয় এবং ইতালীয়রা তৃতীয় স্থান লাভ করে।
ভোটিংয়ে আমেরিকানরা বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর জাতি হিসেবে প্রথম আর জার্মনরা সর্বশেষ স্থান পাওয়ার ঘটনায় অনেকেরই হয়তো মনেপড়ে যাচ্ছে আমেরিকান ঔপন্যাসিক মার্ক টোয়েনের সেই বিখ্যাত উক্তিটি ‘জার্মানদের কৌতুকে হাসার মত কিছু নেই’ এর কথা। মার্ক টোয়েন তাহলে সত্যি কথাই বলেছিলেন!
অপরদিকে ‘দি অফিস’ এবং ‘মন্টি পাইথন’ শো দু’টিকে বৃটিশরা ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ হিউমার হিসেবে আখ্যায়িত করলেও বাডু ডট কম-এর মাধ্যমে জানা গেল তারা নিজেদের যতটা মজার জাতি হিসেবে মনে করে আসলে তারা ততটা নয়। বাডু’র ভোট জড়িপে বিশ্বের হাস্যকর জাতির তালিকায় তাদের অবস্থান ১৭ যা তালিকায় ব্রাজিল, ফ্রান্স এবং মেক্সিকানদেরও পরের স্থানে রয়েছে।
তবে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে বাডু’র উল্টো প্রশ্ন ‘কোন দেশ বিশ্বের সব চেয়ে কম হাস্যকর’ এর উত্তরে বৃটিশদের অবস্থান চতুর্থ এবং তা তুর্কীদেরও পরে।
এ বিষয়ে বাডু’র ডাইরেক্টর অব মার্কেটিং লাইওড প্রাইস যিনি নিজে একজন বৃটিশ, মন্তব্য করেন- ‘আমি ভীত যে এর চেয়ে আরো বেশি হাস্যকর ফলাফল আমরা পেতে পারতাম। ’
বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর জাতি হিসেবে আমেরিকানদের এ বিজয়ের পেছনে ‘ফ্রেন্ডস, সিম্পসন্স, ফ্রেইজার, সেনিফিল্ড এবং মার্কস ব্রাদারস থেকে শুরু করে উডি অ্যালেন, স্টিভ মার্টিন, ল্যারি ডেভিড, বেন স্টেলার অথবা হালের টিনা ফে’র মত বেশকিছু টিভি সিরিয়ালের ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে; ব্যাডো’র ‘বিশ্বের সব চেয়ে হাস্যকর জাতি’র ভোট জড়িপে জাতি হিসেবে আমাদের নাম না থাকলেও এ ধরনের অন্য কোনও প্রতিযোগিতায় কিন্তু আমরা পেয়েও যেতে পরি শিরোপা।
এই যেমন ধরুন- দুর্নীর্তি!
এবার নিশ্চয় পাঠক বিরক্তই হলেন আমার ওপর! থাক, তাহলে আর কথা বাড়ালাম না।
আসাদুল হক খোকন, বাংলানিউজ পাঠক
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ১৮ জুন, ২০১১