ঢাকা: প্রাণীদেরও বাহন রয়েছে। মোটরচালিত বাহন নয়, এরা নিজেরাই নিজেদের বাহন।
অাশ্চর্যজনক হলো, প্রয়োজনবোধে নিজের শিকারিকেও বাহন বানায় প্রাণীরা। চলুন দেখে নিই-
ইন্দোনেশিয়ার তানজুং পাসির ক্রোকোডাইল পার্ক। এক সাহসী শামুক আলসেমী করার আর জায়গা পায়নি। কমবয়সী একটি কুমিরের মাথায় চড়েই ঠাঁয় বসে রইলো! কুমিরটিও নির্বাক।
প্যাকম্যান ব্যাঙটির মাথায় গজালো ফুরফুরে ম্যাজিক্যাল একজোড়া ডানা। আলোকচিত্রী কুরিত আফশিন (৩৪) জানান, জাকার্তায় তার এক বন্ধুর পুকুর থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।
বকটি খুবই বুদ্ধিমান। মাছ ধরার নৌকা হিসেবে জলহস্তির পিঠকেই বেছে নিলো। জায়গাটি গ্রেটার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের আমবাবাট গেম রিজার্ভের জলাশয়।
পানি পার হতে লাল পিঁপড়া চড়লো শামুকের পিঠে। তবে যাত্রীকে খুব একটা পাত্তা না দিয়েই ধীরগতিতে চলতে লাগলো শামুকটি। পিঁপড়াটিকে সে আট ইঞ্চি দূরত্ব পর্যন্ত নিয়ে গেলো। পিঁপড়া-শামুক জুটির ছবি তোলা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সাম্বাসের এক বাগান থেকে।
মোটরবাইক, ট্যাক্সি না স্কুটার, কোনটা বলা যায়? আলসে ব্যাঙটির বুঝি আর লাফিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। শামুকের পিঠে চড়ে ধীরে সুস্থেই যাচ্ছে সে।
খাবার খুঁজতে সে দাঁড়িয়ে মৃত্যুদূতের পিঠে। সাদা বকটির সাহসের তারিফ করতেই হয়। পরে অবশ্য বকটি উড়ে গেছে কাছাকাছি গাছের দিকে। বিরল এ ছবিটি তুলেছেন অালোকচিত্রী আন্দ্রেউ সেন্টিপাল। ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস ভ্রমণের সময় ছবিটি তোলেন তিনি।
নিউসাউথ ওয়েলস উপকূলে একটি সিল হ্যামব্যাক তিমির পিঠে চড়েছে। ফটোগ্রাফার রবিন ম্যালকল্ম তখন ছিলেন নৌকায়।
কুমিরের সঙ্গেও আবার কেউ খেলতে যায়! লিজার্ড বুঝি কুমিরের পিঠ ডিঙিয়ে রেপটাইল রোডিও খেলছিলো।
কচ্ছপের কাণ্ড! সাউথ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে জলহস্তির পিঠজুড়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলো একদল ধূসর কচ্ছপ।
ফড়িং নাকি হাঁটু দিয়ে শোনে। কিন্তু তার বুদ্ধিও কি হাঁটুতেই নাকি! নয়তো সাপের মাথায় কেউ চড়ে বসে নাকি! সাফোকের লেকফোর্ড লেক নেচার রিজার্ভ থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এসএমএন/এইচএ/