ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

ফিচার

পোড়াদহ মেলা

রেকর্ড পরিমাণ মাছের আমদানি

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
রেকর্ড পরিমাণ মাছের আমদানি ছবি: আরিফ জাহান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলীর (বগুড়া) পোড়াদহ মেলা থেকে ফিরে: গেল বছর হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছিল বগুড়ার মাছের জন্য বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায়।
 
কিন্তু এবার মেলায় সেই নেতিবাচক প্রভাব নেই।

তাই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও সুদূর চট্টগ্রাম থেকেও এ মেলায় মাছ এসেছে। বসেছে সর্বোচ্চ সংখ্যক মাছের দোকান।

ফলে বেকর্ড পরিমাণ মাছের আমদানি ঘটেছে এবারের পোড়াদহ মেলায়। তবে বিগত বছরের মতো বড় আকারের মাছের দেখা মেলেনি।
 
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ‌ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় আসা কয়েক আড়তদারের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া যায়।
 

undefined


ছয়তাঁরা মৎস্য আড়তের স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদৎ হোসেন বাবু বাংলানিউজকে জানান, এ মেলা উপলক্ষে প্রায় এক মাস আগ থেকে মাছ সংগ্রহে নামেন মহাজনরা। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড়-বড় মাছ এনে পুকুরে রাখেন তারা। পাশাপাশি মাছগুলোর প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়। সঙ্গে পোড়াদহ মেলার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকেন মহাজনরা।
 
তবে বাঘাইড়, আড়কাটা, গাং চিতল ও চিতল মাছগুলো মেলার কয়েকদিন আগে সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া রুই, মৃগেল, সিলভার, ব্লাক কার্প, গ্রাস কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির চাষের মাছও আগেই সংগ্রহ করেন তারা।
 
মাছের জন্য বিখ্যাত পোড়াদহ মেলা শুরুর একদিন আগে সন্ধ্যা রাতে এসব মাছ বগুড়া শহরে আনা হয়। পরদিন বিভিন্ন যানবাহনযোগে মাছগুলো মেলার আড়তে-আড়তে চলে যায়। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা মাছগুলো ক্রয় করেন। এরপর তারা সেই মাছ মেলায় আসা মানুষের কাছে বিক্রি করেন।
 

undefined


শাহজাহান আলী, আকালু, সিরাজসহ একাধিক আড়তদার জানান,  এবার এ মেলায় প্রায় ২০টির মতো  মাছের আড়ত বসেছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীর সংখ্যা দেড় হাজারের অধিক। মেলায় রেকর্ড পরিমাণ মাছ বিক্রি হলেও এবার তেমন একটা লাভ হয়নি। বিশেষ করে অনেক খুচরা ব্যবসায়ীকে লোকসান গুণতে হয়েছে।
 
মেলার খুচরা ব্যবসায়ী মোহাব্বত ও বজলু জানান, পাইকারি দর হিসেবে বড় মাপের বাঘাইড় মাছ প্রতিকেজি ১২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। অথচ ক্রেতারা সেই মাছের কেনা দাম বলেই চলে যান। আবার অনেক ক্রেতা কেনার দামের চেয়েও কম বলেন। ফলে এসব মাছ কেটে বিক্রি করতে হয়েছে তাদের।
 
এসব ব্যবসায়ীরা জানান, মেলায় আসা অধিকাংশ ক্রেতা মধ্যম ও নিম্নআয়ের। এসব ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে মাঝারি আকারের মাছগুলো। বিশেষ করে ৭-৮কেজি ওজনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাহিদা ছিল ব্যাপক।

undefined


ওই আকারের মাছ বিক্রি করে অনেক খুচরা বিক্রেতাকে বড় আকারের মাছ বিক্রির লোকসান সামাল দিতে হয়েছে বলে তারা জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এমবিএইচ/এসআর

** মাছের মেলায় ১০ কেজি মাছ মিষ্টি!
** ৬০ কেজির বাঘাইড়, দাম ৯০ হাজার!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।