ঢাকা: ধামরাইতে বেশি দিন থাকলেন না মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। অবশেষে ফিরে গেলেন নিজ গন্তব্যেই।
মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বেশ কিছুদিন ধরেই ছবি হিসেবে ছিলেন ঢাকার ধামরাইতে। চিত্রশিল্পী মানসী মৌ এর দোতলা বাড়িতে, তার পেইন্টিং স্টুডিওতে।
রং তুলির ক্যানভাসে মার্শা বার্নিকাটের তৈলচিত্র নিয়েই গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলানিউজে ‘আপাতত ধামরাইতেই থাকছেন মার্শা বার্নিকাট’ শিরোনামে একটি ফিচার প্রকাশ করা হয়।
ফিচারটি অসংখ্য পাঠক ফেসবুকে শেয়ার করেন এবং ছবির মার্শা বার্নিকাটের জন্মস্থান ধামরাইতে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন হয়। ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মার্শা বার্নিকাটের ঢাকার বাসভবনে আয়োজন করা হয় একটি অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিল্পী মানসী মৌ দম্পতি।
সেখানেই তুলে দেওয়া হয় আসল বার্নিকাটের হাতে ছবির মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটকে। সঙ্গে লেমিনেটিং করে দেওয়া হয় ‘আপাতত ধামরাইতেই থাকছেন মার্শা বার্নিকাট’ শিরোনামে বাংলানিউজে প্রকাশিত ফিচারটি।
কেমন ছিলো সেই অনুভূতি? এমন প্রশ্নের জবাবে শিল্পী মানসী মৌ বর্ণনা করলেন এভাবে- ‘বলতে পারেন অসাধারণ, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। পার্টির সেই পরিবেশ থেকে আমাদের নেওয়া হলো তার কক্ষে, সেখানে ছবিটি তুলে দেওয়া মাত্র দেখি ছলছল করছে মার্শা বার্নিকাটের চোখ। আবেগে তিনি বললেন, এতো নিখুঁত ছবি, তোমরা আমাকে এতো ভালোবাসো!’
মানসী মৌ’র স্বামী ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী তামা-কাঁসা শিল্পের ভাস্কর সুকান্ত বণিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের নিয়ে পত্রপত্রিকা আর টেলিভিশনে বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে বাংলানিউজের সেই ফিচারটি ছিলো এক কথায় অসাধারণ। বলতে পারেন চমক সৃষ্টি করার মতো। প্রকাশের পর পর বহু মানুষ আমাদের ফোন করেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্রই নিজের মুখেই মার্শা বার্নিকাট আমাদের বলেন, ফিচারটি বাংলানিউজকে পড়ে তার এক বাংলাদেশি বন্ধু তাকে বলেছেন, তুমি তো ধামরাইতেই ছিলে, কবে ফিরলে ধামরাই থেকে?’
সুকান্ত বণিক আরও বলেন, ছবিটি নিয়ে ফিচার স্টোরি হওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই, ছবির সঙ্গে ফিচারটিও তুলে দেবো বার্নিকাটের হাতে। কারণ ফিচারটি সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের হাতে শিল্পকর্মটি তুলে ধরেছে। আমরা ফিচারটি ভার্চ্যুয়াল জগৎ থেকে বের করে তা প্রিন্ট করি। আর লেমিনেটিং করে ছবিটির সঙ্গেই ফিচারটিও তুলে দিই বার্নিকাটের হাতে।
ফিচারটি দেখে বার্নিকাট বলেন, ‘আমি নিউজটির কথা শুনেছি, কিন্তু পড়ার সুযোগ পাইনি। দোভাষী দিয়ে অবশ্যই খবরটি অনুবাদ করিয়ে পড়বো। ’
‘ধন্যবাদ বাংলানিউজকে। ’ বাংলানিউজকে এভাবেই নিজেদের ভালোবাসার কথা জানান শিল্পী মানসী মৌ আর সুকান্ত বণিক দম্পতি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
জেডআর/টিআই
** আপাতত ধামরাইতেই থাকছেন মার্শা বার্নিকাট!