সকাল ১১টা। কুড়িল ফ্লাইওভারে উঠতেই চোখে পড়লো হলুদ রঙের বাতিগুলো জ্বলছে অসহায়ভাবে।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম- এই আশায় যে, বাতিগুলো এই বুঝি নিভে যাবে। বাতিগুলোর হাত নেই, পা নেই, নিজে নিজে বন্ধ হবার কোনো উপায়ও নেই। দায়িত্বরত কাউকে দেখতেও পেলাম না।
আগের দিন রাতেই একই ফ্লাইওভার দিয়ে ফেরার সময় দেখেছিলাম বাতিগুলো ঠিকমতো জ্বলে না, কিছু কিছু বাতি জ্বলে আর নেভে!
ফ্লাইওভারটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম এই ভেবে যে, এক জায়গাতেই হয়তো ভুল করে বাতিগুলো জ্বলে আছে। কিন্তু না, দেখা গেলো পুরো কুড়িল ফ্লাইওভার জুড়েই এমন অনিয়ম।
টহলরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানালেন, প্রায় প্রতিদিনই এভাবে বাতি জ্বলে থাকে। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না।
যেখানে রাজধানীর খুব কাছের গ্রামগুলোতে ঠিকমতো বিদ্যুৎ পায় না সেখানে বিদ্যুতের এমন অপচয় মেনে নেওয়া কষ্টকর।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে যখন অফিসের দিখে রওনা দিলাম তখনও বাতিগুলো অসহায়ের মতো জ্বলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/