কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ঘুরে: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরের ঘাঘট, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে বন্যা দেখা দেয়। সারা দেশের মধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের বৃহত্তম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম গতকদিন ধরে সরেজমিন ঘুরে বন্যাদুর্গত এ এলাকাগুলো থেকে তুলে ধরেছে সার্বিক পরিস্থিতির চিত্র। তুলে ধরেছে বন্যার্ত মানুষের দুঃখকথা, দিনাতিপাত জীবনযাপনের চিত্র, নিয়ম-অনিয়ম, প্রশাসনের উদ্যোগ-গাফিলতিসহ সার্বিক দিকগুলো।
ব্রহ্মপুত্র পাড়ে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার বন্যা উপদ্রুত এ এলাকা পরিদর্শনে বাংলানিউজ টিমে ছিলেন কান্ট্রি এডিটর শিমুল সুলতানা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলা ও স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট দীপু মালাকার।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের সড়কে বন্যার পানি। মানুষ ও নৌকার একই রাস্তা।
পড়ুন বাংলানিউজের কান্ট্রি এডিটর শিমুল সুলতানার রির্পোট "বন্যায় দুর্ভোগ, টিকে থাকার লড়াই"
এ উপজেলাট নয়ারহাট, চিলমারী ও অষ্টমীর চরে পানি উঠে বন্ধ হয়ে গেছে এ তিন ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ। এখানে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতে কলার ভেলা ও বাঁশের সাঁকো ছাড়া গতি নেই।
ঘরে উঠেছে হাঁটু পানি। রান্না ঘর পুরোটাই পানির তলে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রিনা। দাঁড়িয়ে আছে নিজ বাড়ির পছন্দের খেলার জায়গাটিতে!
চিলমারী উপজেলার বাসন্তির গ্রামে জোরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ এটি। বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্র। মিলি তার ছোট বোন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারই ক্লাস রুমে!
পড়ুন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলার রির্পোট "নৌকায় ভাসছে বানভাসী মানুষ"
‘ঘরে জল আইয়া আমগোরে বাইর কইরা দিছ’ হাসতে হাসতে বলছিন রিনা। রিনা তার বই খাতা নিয়ে আর তার বাবা বালিশ-তোশক নিয়ে রাস্তার দিকে যাচ্ছে। যেখানে তাদের মতই খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো বানভাসি।
বন্যার সময় বা পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি রোগাক্রান্ত হয় নারী ও শিশু। কারণ থাকেনা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, থাকেনা পানি।
এ বিষয়ে আরো পড়ুন ‘পানির নিচে টয়লেট, তাই দিনে তেমন খান না আসমারা’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
এসএইচ