‘মামা এদিকে পাঁচটা শিঙ্গাড়া, এদিকে তিনটা’-- লোকজন এভাবে বলেই চলছেন। ভেতরে উপচেপড়া লোকজন।
এবার পরিচিত হওয়া যাক সেই মামার সাথে। তিনি হলেন বাদল মিয়া, যিনি মোল্লা মামা নামেই সবার কাছে পরিচিত। তার দোকানটিও ‘মোল্লার টঙ’ নামেই জনপ্রিয়।
১৯৯৩ সাল। ওই সময় বারিধারা আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। এর কিছু দিন পর থেকেই মোল্লার টঙের যাত্রা।
বাদল মিয়া জানান, যখন তিনি দোকানটি শুরু করার চিন্তা করলেন সে সময় তার হাতে তেমন অর্থসম্পদ ছিল না। কারণ ওই সময় তিনি খিলক্ষেতের একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করতেন। তখন কিছু টাকা ধার নিয়ে শুরু করেন তার এই খাবারের টঙটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সুবাদে তার টঙটি ধীরে ধীরে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষ করে তার পরিশ্রম, আন্তরিকতা এবং খাবারের স্বাদ ও গুণগত মানের জন্য এটি টঙ হলেও ভালো ব্যবসা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।
এই মোল্লার টঙ শুধু বারিধারাতেই নয়, অনেক জায়গাতেই তার সুনাম ছড়িয়েছে। এই সুনামের সাথে বাদল মিয়ারও কপাল ফিরেছে। এখন তিনি সচ্ছল এবং পরিবারে দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে ভালোই দিন পার করছেন।
বাদল মিয়া তার টঙের মাধ্যমে যে স্বপ্নের শুরু করেছিলেন তিনি তা তার সততা, আন্তরিকতা আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন। এবং স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন আদর্শ উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১১