নাটোর: নাটোরে মুরগির বিষ্ঠা থেকে তৈরি বায়োগ্যাস প্রযুক্তি নির্ভর গন্ধবিহীন পোলট্রি খামার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে বেকারত্ব দূর হওয়া, দারিদ্র সংকোচনের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে।
নাটোর জেলা প্রণীসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম ফজলুল কাদের মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে এলএলপি ও তিতাসের সমমানের গ্যাস পাওয়া যায়। এছাড়া বায়ু ও গন্ধ দুষণ রোধ করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এর সারের মানও অনেক ভালো।
নাটোর জেলায় ৮৫৭ টি রেজিস্ট্রার্ড বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট সমৃদ্ধ পোলটি খামার আছে। এর মধ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলাতে রয়েছে তিনশটি। খামারগুলো বিকল্প জ্বালানি শক্তির উৎস, জীবাণুমুক্ত জৈব সার, আমিষের ঘাটতি পূরণ ও বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। এই প্রযুক্তি কৃষি নির্ভর উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি হিসাবে কাঠের ব্যবহার কমিয়ে বণজ সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
ফজলুল কাদের জানান, বয়লার ও লেয়ার দুক্ষেত্রেই শুরুতেই ব্রুডিং করতে হয়। এসময় নির্দিষ্টি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে বিশেষ করে শীতকালে উত্তরাঞ্চলের অনেক খামারে শতশত মুরগির বাচ্চ মারা যায়। বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট খামরীদের এ সমস্যা থেকে রক্ষা করেছে।
লালপুর উপজেলার খামারী আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, খামারে মুরগির বিষ্ঠার প্রচ- দুর্গন্ধ হয়। প্রতিবেশিরা খামার তুলে দিতে বলে। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার পর দুর্গন্ধ দূর হয়েছে। এখন কেউ আপত্তি করে না।
বাগাতিপাড়া উপজেলার মালঞ্চি গ্রামের বিথী বেগম বাংলানিউজকে জানান, খড়ি ভেজা থাকলে রান্না করতে কষ্ট হতো। তাছাড়া রান্না করতে সময় লাগত বেশি। এখন বায়োগ্যাসে অনেক সুবিধা। মুরগির খামরে বায়োগ্রাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজ পরিবারের রান্নার সুবিধা আর বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১১