বর্তমান বিশ্বকে বলা হয় মোবাইল বিশ্ব। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী ৫৩০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
কুপার ১৯৫০ সালে ইলিনিয়স ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়াশোনা নিয়ে মার্টিন বলেন, আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলাম তখন থেকেই সবগুলো বিষয়ের উপর আমার আগ্রহের কমতি ছিল না। কুপার আরও বলেন, কোন যন্ত্র কিভাবে কাজ করে তা বের করার চেষ্টা করি। একই সাথে কিভাবে যন্ত্রটি দিয়ে আরও সুবিধা পাওয়া যায়, সে চেষ্টাও করতাম। এছাড়াও ইউএস নেভিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা মার্টিন ভুলতে পারেন না। তিনি মনে করেন, টিম ওয়ার্ক এবং নেতৃত্ব দিয়ে কিভাবে কোন কাজকে সফলতায় রুপান্তরিত করা যায় সে বিষয়ে সব কলাকৌশল তিনি ইউএস নেভিতে কাজ করতে গিয়ে শিখেছেন।
মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের কথা কিভাবে মাথায় আসলো? এই প্রশ্ন বহুবারই তাকে বহুজনে করেছে। তিনি উত্তরে বলেছেন, যখন মটোরোলাতে পারসোনাল কমিউনিকেশন বিভাগে কাজ করতেন, তখন দেখতেন টেলিফোনে কথা বলতে হয় তারের মাধ্যমে। তারহীন বা ওয়্যারলেস প্রযুক্তি কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা এটিঅ্যান্ডটি ঘোষণা দিল, তারা ‘কার টেলিফোন’ নামে একটি বেতার টেলিফোন ডিভাইস তৈরি করছে। কিন্তু এটিঅ্যান্ডটির কার টেলিফোনকে পেছনে ফেলে কুপার বাজারে আনলেন ‘হ্যান্ডহ্যাল্ড মোবাইল ফোন’।
নতুন প্রজন্মের জন্য তিনি সবসময় বলেন, আউট অব দ্যা বক্স চিন্তা করার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া অবস্থায় গবেষণার গুরুত্বের কথাও বহুবার বলেছেন। তার দৃষ্টিতে, কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্বল্প সময়ের জন্য গবেষণা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের কাজ হলো তার নিজস্ব প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একদম ভিন্ন। তাদের সুযোগ আছে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে না থেকে বহু বিষয়ে গবেষণা করার। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটাকেই বলা যেতে পারে সত্যিকার অর্থে গবেষণা। তারা ব্যবহারকারী হিসেবে গবেষণা করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর জন্য গবেষণা করে। তাই দুটি গবেষণা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
প্রযুক্তি বিশ্বের আইকন হিসেবে একবার একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল- সফলতা কিভাবে পাওয়া যেতে পারে? তিনি এক বাক্যে বলেছিলেন- ‘এগিয়ে যাও। হেরে যাওয়াকে ভয় পেও না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১১