বিশ্বস্ত প্রাণী ঘোড়ার সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব প্রায় নয় হাজার বছরের পুরনো। আরবে নতুন এক সভ্যতার খোঁজ পাওয়ার পর প্রত্নতাত্ত্বিকরা এ কথা জানিয়েছেন।
মানব সভ্যতার ইতিহাস অনেক পুরোনো। সেই পুরনো সভ্যতার খোঁজে যুগ যুগ ধরেই চলছে কত না অনুসন্ধান। অনুসন্ধানের ফলে একে একে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে মোসোপটেমীয় সভ্যতা, ইনকা সভ্যতা, মায়া সভ্যতাসহ আরও কত না সভ্যতা। একেক সভ্যতা একেকভাবে ঋণী করে গেছে বর্তমান আধুনিক সভ্যতাকে। তেমনি নয় হাজার বছর আগেকার নতুন এক সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গেছে সৌদি আরবে। দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বুধবার এই নতুন সভ্যতা আবিষ্কারের তথ্য জানিয়েছেন।
নয় হাজার বছর আগের ওই সময়েও ঘোড়া গৃহপালিত পশু হিসেবে লালন পালন হতো এমন নিদর্শন পাওয়া গেছে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন স্থানটিতে।
প্রত্নতাত্ত্বিক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী আল ঘাব্বান বলেন, ‘আল মাকার নামের এক ব্যক্তি ওই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটির সন্ধান পান। তাই তার নামেই এই প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে। আর এই আবিষ্কার মধ্য এশিয়ায় মানব সভ্যতার পশুপালন তত্ত্বকে পরিবর্তন করে দিলো। কারণ এতোদিন বলা হতো যে, মধ্য এশিয়াতে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে পশুপালন শুরু হয়েছিল। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের নতুন করে ভাবতে সহায়তা করবে। প্রস্তর যুগের আগেই যে ঘোড়াকে পোষ মানানো হয়েছিল এবং সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটেছিল তা এই আবিষ্কারই বলে দিচ্ছে।
প্রস্তর যুগের সময়কার মাকার সভ্যতা খুবই উন্নত ছিল। এই আবিস্কার আমাদের স্পষ্টভাবেই নয় হাজার বছর আগেই যে পশুপালন শুরু হয়েছিল তার ইঙ্গিত দেয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটিতে মমি করা কঙ্কাল, তীরের ফলা, হাতিয়ারের অংশ, শস্য চূর্ণ করা যন্ত্র, সুতা কাটা এবং কাপড় বোনার যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। আরও যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে তাতে সহজেই অনুমেয় যে, ওই সভ্যতা হস্তশিল্পে বেশ পারদর্শী ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০