ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

তরুণ প্রজন্মই দেশটাকে পাল্টে দেবে: রিটন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০২, আগস্ট ২৯, ২০১১
তরুণ প্রজন্মই দেশটাকে পাল্টে দেবে: রিটন

লুৎফর রহমান রিটন জনপ্রিয় ছড়াকার। আশি ও নব্বইয়ের দশকে নিজেকে সাহিত্যের এই ভিন্ন ধারায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০০১ এ জাপান দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর চাপের মুখে রিটন ২০০২ সালের এপ্রিলে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। সে সময় থেকেই তিনি কানাডাতেই অবস্থান করছেন। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি তার পাসপোর্ট ফিরে পান এবং প্রায় সাত বছর পর দেশে আসেন।

লুৎফর রহমান রিটনের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১০০। প্রতিবছরই বইমেলায় তার ৩/৪ টা বই প্রকাশিত হয়। পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্য। তার মধ্যে ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার এবং ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

এ বিশিষ্ট ছড়াকারের সঙ্গে ছড়া নিয়ে তার ভাবনা, দেশ, রাজনীতি ও তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা নিয়ে অনলাইন আড্ডায় কথা বলেছেন স্বপ্নযাত্রার বিভাগীয় সম্পাদক শেরিফ আল সায়ার।

১. ছড়াকার হবেন এমনটা কি কোনদিন ভেবেছিলেন?

লুৎফর রহমান রিটনঃ ছেলেবেলায় আসলে হতে চেয়েছিলাম শিল্পী। আর্টিস্ট। প্রচুর ছবি আঁকতাম। খারাপ ছিলো না কিন্তু আমার ছবি আঁকার হাত। শঙ্কর ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কয়েকটা আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছিলাম পিচ্চিকালে। ছড়াকার হবো ভাবি নি। কিন্তু নিয়তি আমাকে আঁকিয়ে হতে দেয়নি। হতে চাইলাম আর্টিস্ট আর হলাম কি না ছড়াকার! কোনো মানে হয়?

আসলে, একেকটা মানুষ একেকটা দায়িত্ব নিয়ে পৃথিবীতে আসে। আমার মনে হয় আমার ওপর অর্পিত ছিলো ছড়ার দায়িত্ব। ওটা আমি নিতে চাইনি কিন্তু নিয়তি আমার কাঁধে ছড়ার বোঝাটা ঠিক ঠিক চাপিয়ে দিয়েছে। ও থেকে আমার আর নিস্তার নেই। এইটা বুঝে গিয়েছিলাম বলেই আর গাঁইগুঁই করিনি। শেষমেশ মেনেই নিয়েছি প্রকৃতির বিধান।

২. ছোটদের নিয়ে আপনার জনপ্রিয় একটি পত্রিকা ছিল। নাম ছিল ‘ছোটদের কাগজ’।   ছোকা বন্ধ হয়ে গেলো কেন?

লুৎফর রহমান রিটনঃ ‘ছোটদের কাগজ’ ছিলো আমার স্বপ্নের পত্রিকা। শিশুদের অনিন্দ্যসুন্দর ঝলমলে একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি আমি। আর সেই কারণেই সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বের করেছিলাম মাসিক পত্রিকাটি। পত্রিকাটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছিলো।

কিন্তু শুধুমাত্র পাঠকপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে একটি পত্রিকা বেঁচে থাকতে পারে না। সরকারি বেসরকারি সহায়তা লাগে। বিজ্ঞাপন লাগে। আমি সরকারি বেসরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। পাঁচ ছয় বছর পর এক সময় টের পেলাম ‘ছোটদের কাগজ’ পত্রিকাটি বের করতে গিয়ে আমি প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছি!

আমার স্ত্রীর কিছু মূল্যবান অলংকার ছিলো, সেগুলোও বিক্রি করে ফেলেছিলাম পত্রিকাটি বের করতে গিয়ে। তো এক পর্যায়ে মধ্যবিত্তের অনিবার্য গ্লানিময় পরাজয়ের মুকুটটি আমার মাথার ওপর চেপে বসে ব্যর্থতার ব্যান্ড বাজাতে আরম্ভ করলো। আমি নিঃশ্ব হলাম। পত্রিকাটিও মরে গেলো।       
 
৩. বাংলাদেশের তরুণ ছড়াকারদের ভবিষ্যত কেমন দেখতে পান?

লুৎফর রহমান রিটনঃ  খুব খারাপ। আমি আমার নিজের পরিণতি থেকে যে প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছি তার সুবাদেই বললাম কথাটা! তবে তুমি যদি বাংলাদেশের তরুণ ছড়াকার বন্ধুদের রচিত ছড়ার ভবিষ্যতকে মিন করে থাকো তাহলে বলবো খুব ভালো। অসাধারণ আর চমৎকার সব ছড়া লিখছে তরুণরা। বাংলাদেশের তরুণ ছড়াকারদের ছড়ার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।     

৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় কিংবা বলতে পারেন স্বৈরাচার শাসকের সময় আমরা দেখতে  পেতাম আপনাদের প্রজন্ম ব্যঙ্গ ছড়া বা ব্যঙ্গ রম্য রচনা লিখে প্রতিবাদ জানাতো। কিন্তু বর্তমান সংকটকালের সময় তেমন ব্যঙ্গাত্বক ছড়া বা রম্য রচনা আমরা দেখতে পাই না। এ বিষয়ে আপনি কি মনে করেন? তার মানে কি গত একদশকে আমাদের প্রতিবাদী ছড়াকার তৈরি হয়নি?

লুৎফর রহমান রিটনঃ গত একদশকে আমাদের প্রতিবাদী ছড়াকার তৈরি হয়নি কথাটা পুরোপুরি মানতে না পারলেও মানতেই হবে যে অতীতের তুলনায় সংখ্যাটা একেবারেই নগণ্য। এর একটা সমাজতাত্ত্বিক কারণ সম্ভঃবত চলমান বাস্তবতায় ক্রমশ মানুষের পাল্টে যাওয়া। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাওয়া। স্বার্থপর হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীটির।

গত এক দেড় দশকে আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণীটি ক্রমান্বয়ে চরিত্র বদল করেছে। চারিত্র্য বদল হয়ে গেছে মধ্যবিত্তের। মুশকিল হলো শিল্প-সাহিত্য-রাজনীতি-সমাজ সবকিছুই পাল্টায় মধ্যবিত্তের হাত ধরে। এই শ্রেণীটির দায় অনেক। আমাদের নষ্ট রাজনীতি আর লোভী ‘অদেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ’রা এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীটির বিশাল একটি অংশকে তাদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। যে কারণে চারপাশে এতো এতো নির্দয় আর অমানবিক নিষ্ঠুর মানুষ গিজগিজ করছে। এর একটা প্রত্যক্ষ প্রভাব আমরা রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। শিল্প-সাহিত্যেও কিছুটা ছিটেফোঁটা লেগে থাকবে হয়তো।

আর সে কারণেই কোনো দৃশ্যমান প্রতিবাদী ছড়াকারের দেখা আমরা পাচ্ছিনা। হয় সে ভয় পাচ্ছে কিংবা সে প্রাপ্তিসম্ভাবনার কাছে আত্মসমর্পণ করছে। কিন্তু তারপরেও আমি হতাশ নই বন্ধু। সংখ্যায় অপ্রতুল হলেও তারা আছে। ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র-সরকারের যাবতীয় পতনের ঘনঘোর কৃষ্ণপক্ষকালে, দেশের যে কোনো দুর্যোগে দুঃসময়ে ছড়াকাররাই প্রথম প্রতিবাদ করে, ইতিহাস তো সেই স্বাক্ষ্যই দেয়।

৫. সবাই বলে, তরুণ প্রজন্ম নাকি পুরো দেশটাকে পাল্টে দেবে। আসলেই কি তাই? কি এমন বিশেষত্ব আছে এ প্রজন্মের মাঝে?

লুৎফর রহমান রিটনঃ আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে তরুণ প্রজন্মই একদিন পুরো দেশটাকে পাল্টে দেবে। এই উপমহাদেশকে ব্রিটিশদের কবল থেকে মুক্ত করেছিলো যাঁরা তাঁদের সিংহভাগই ছিল তরুণ প্রজন্মের।

ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশ, সূর্যসেন, প্রীতিলতা এইরকম গুচ্ছ গুচ্ছ নাম আমরা স্মরণে আনতে পারি। ঊনসত্তুরের গণঅভ্যূত্থানে লৌহমানব আইয়ূব খানকেও পরাভূত করেছিলো তরুণরাই। আসাদ কিংবা মতিউরের নাম আমরা স্মরণে আনতে পারি। আমাদের ভাষা আন্দোলনেও আত্মত্যাগ তরুণদেরই। বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার, সালামদের কথা আমরা স্মরণে আনতে পারি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের রক্ত আর অকাতরে তাঁদের জীবন উৎসর্গের অপরূপ উপাখ্যান রচিত হয়েছে। তিরিশ লক্ষ শহীদের সিংহভাগ কিন্তু তরুণরাই।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশেও যাবতীয় দুর্যোগ দুঃসময় আর স্বৈরাচারকে রুখতে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে তরুণরাই। নব্বইয়ের সামরিক স্বৈরাচার এরশাদকে হটাতে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো এই তরুণরাই। সাতাশির নভেম্বরের আগে আমরা কি নূর হোসেনকে চিনতাম? জানতাম? কিন্তু দেখো, সময়ের সাহসী সন্তান শহীদ নূর হোসেন আচমকা জনস্রোতের সামনে এসে দাঁড়ালো কী দুর্দান্ত এক প্রতিরোধের মশাল হয়ে। গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক বুকে পিঠে এই সেøাগান লিখে রাজপথে স্বৈরাচারের বুলেটে আত্মাহুতি দেয়া নূর হোসেন তো আমাদের তরুণ প্রজন্মের ঐতিহাসিক ভূমিকার ধারাবাহিকতারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

আমাদের বর্তমান প্রজন্ম তো সেই নূর হোসেনদের গৌরবদীপ্ত উত্তরাধিকারই বহন করছে। কী এমন বিশেষত্ব আছে এ প্রজন্মের মাঝে এই প্রশ্নের উত্তরে এইটুকুই বলি। একটু পেছনে তাকাতে বলি। নিকট অতীতের আন্দোলন আর সংগ্রামের দিকে একটু তাকাতে বলি। আর সবশেষে বলি, তারুণ্য কোনোদিন পরাভব মানে না।

৬. আমাদের দেশে স্বপ্নবাজ নেতা নেই। তাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে না। এটি সবাই মনে করেন। যদি তাই হয়, তবে জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কি করা উচিত?

লুৎফর রহমান রিটনঃ একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমাদের দেশে এখন স্বপ্নবাজ নেতা নেই। স্বপ্নবাজ নেতা কিন্তু প্রতিদিন প্রতিমাসে প্রতিবছরে প্রতিযুগে জন্মায় না। এরকম নেতার আগমনের জন্যে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়। একজন শেখ মুজিব এসেছিলেন আমাদের দেশে। তাঁর মতো স্বপ্নবাজ নেতা আবার একদিন নিশ্চয়ই আসবেন। তবে সময় লাগবে।

দেশ এখন একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত নেতার নাগপাশে বন্দি। তবে সময় এরকম থাকবেনা। জাতি ঘুরে দাঁড়াবেই। সময়ের সাহসী সন্তানেরা আছে আমাদের আশেপাশেই। জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই জাতিকে সঠিক নেতা নির্বাচন করতে হবে।

যে জাতি যেমন তার নেতাও থাকে তেমন। নেতা বাইরে থেকে আসেন না। নেতা আকাশ থেকে পড়েন না। জাতির ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসেন নেতা। জাতিই তৈরি করে নেতা। দায়টা জাতির। দায়টা সবার। এককভাবে দায়টা কারো নয়।

৭. এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সামনে ঈদ। কিশোর বেলায় আপনার ঈদ কেমন কাটতো?

লুৎফর রহমান রিটনঃ আমার কিশোরবেলার ঈদ ছিলো আনন্দে ভরপুর। কৈশোর হচ্ছে ডানা মেলবার দিন। কিশোরবেলাটা হচ্ছে একজন কিশোর বা কিশোরীর প্রজাপতি হয়ে উঠবার কাল। শুঁয়োপোকা যেরকম ক্রমশঃ প্রজাপতিতে রূপান্তরিত হয় এ সময়টা সেরকম।

এ সময়েই কিশোর-কিশোরীরা তাদের শরীরে আর মনে, স্বপনে আর জাগরণে অন্যরকম একটা শিহরণ টের পায়। তখন সবকিছুই ভালো লাগে। পৃথিবীর সবকিছুকেই অসাধারণ সুন্দর মনে হয়। রঙিন বর্ণাঢ্য মনে হয়। তো ঈদটাও তখন কানায় কানায় ভর্তি থাকে।

কৈশোরে নতুন জামা-জুতো পড়ে ফুলবাবুটি সেজে বন্ধুদের সঙ্গে সীমাহীন হইহুল্লুড় আড্ডায় এর বাড়ি ওর বাড়িতে ক্লান্তহীন ভোজনের উল্লাসে দিনটা কেটে যেতো আমার।
 
৮. বড় হয়ে কেমন কাটতো?

লুৎফর রহমান রিটনঃ বড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঈদের পুরো দিনটাই কাটাতাম বাড়িতে। একা একা, ভরপেট খেয়েদেয়ে শুয়ে আর ঘুমিয়ে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হতো ম্যারাথন টিভি দর্শন। টেবিলে বিপুল খাদ্যসম্ভারের মজুদ নিশ্চিত করে স্ত্রী-কন্যা আমাকে বাড়িতে তালা মেরে রেখে বেড়াতে বেরুত। ওরা ফিরতো সন্ধ্যায়। আহারে! সারাটাদিন শুয়ে ঘুমিয়ে জেগে উঠে আবারো নিদ্রার মধ্যে কাটানোটা কী যে মজার ছিলো...

৯. তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। যারা স্বপ্ন দেখতে চায়, কিংবা যারা দেখে না। কিন্তু চেষ্টা করলে তারাও স্বপ্নবাজ হয়ে ওঠবে। সবার উদ্দেশ্যেই কিছু বলুন।

লুৎফর রহমান রিটনঃ অন্যের ওপর দোষ না চাপিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকাতে হবে আগে। দেশ আমাকে কি দিয়েছে সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবার আগে নিজেকেই প্রশ্ন করতে হবে আমি দেশকে কি দিয়েছি? স্বপ্ন দেখতে হলে কিংবা স্বপ্ন দেখাতে হলে প্রথমেই নিজের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের জন্যে কিছু করতে হলে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে সবার আগে।

মেধার কোনো বিকল্প নেই। একজন মেধাহীন মানুষের পক্ষে বড় কোনো স্বপ্ন দেখাও সম্ভব নয়। একজন মেধাবী মানুষের ব্যক্তিগত স্বপ্নও এক সময় সমষ্টির স্বপ্নে পরিণত হয়। ব্যক্তির স্বপ্ন তখন রূপান্তরিত হয় জাতির স্বপ্নে।
 
দেশের সিংহভাগ মানুষই ভালো মানুষ। দুর্নীতিবাজ- দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় কম কিন্তু তারা সংঘবদ্ধ। আর সে কারণেই তারা শক্তিশালী। সৎ আর ভালো মানুষগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন। আর সে কারণেই তারা দুর্বল। আমাদের দুর্ভাগ্য, দুর্নীতিবাজদের নেতা আছে কিন্তু সৎ মানুষগুলোর কোনো নেতা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।