ফলাফল নিতে স্কুলে গেলেও আমার দেখার আগে মা-বাবা আমাকে ফোন করে জানিয়েছে, আমি গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পেয়েছি। আমার বাবা অজয় কুমার বিশ্বাস ওষুধ কোম্পানিতে চাকরী করেন, মা গৃহিণী।
ক্রিকেট আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। যখনই সময় পেতাম আমি মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। এমনকি মায়ের সই নকল করে ফরম পূরণ করে স্কুলে টুর্নামেন্ট খেলেছি এবং তার পর ব্যাচ। আর অবসর সময়ে ফেসবুকে তো ছিলামই। পাশাপাশি আমি পড়াশুনাও চালিয়ে গিয়েছি। দৈনিক আট ঘণ্টা পড়াশুনা করেছি।
আমি নিজেকে কোনোদিনই ভালো ছাত্র মনে করিনি। কারণ, আমি জানি- স্কুলে হোক কিংবা বাইরে, আমার থেকেও ভালো ছাত্র রয়েছে। কিন্তু আমার চেষ্টা ছিলো ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আর আমি মনে করি, কোনো উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা পূরণের জন্য মনোবলই প্রধান। লেখাপড়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরীক্ষা। যে কারণে আমি স্কুলের সব পরীক্ষা গুরুত্ব সহকারে দিতাম। যে কারণে বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফল হয়েছে। আমার এ ফলাফলের পেছনে মা-বাবার অনুপ্রেরণা বড় ভূমিকা রেখেছে।
আমার ইচ্ছা, আর্মি অফিসার হবো। কিন্তু বাবার ইচ্ছা, আমি যেনো ডাক্তার হই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসএনএস
বাংলানিউজে তোমরাই লেখো ‘সাফল্যের সুখস্মৃতি’