আমার এ ফলাফলের পেছনে মা সুমি চক্রবর্তী, বাবা তপন চক্রবর্তী, ননাই (ঠাকুরমা), শিক্ষক সবারই ভূমিকা আছে। বিশেষ করে আমার মায়ের ভূমিকাই বেশি।
আমাদের এসএসসি পরীক্ষাটি নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে প্রি-টেস্ট দেওয়ার পর সাতটি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়ম চালু। আকস্মিকভাবে এটি আমাদের নার্ভাস করে দিয়েছিল। কৌতূহল ছিল শেষপর্যন্ত সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে কিনা। আরেকটি বিষয় উদ্বেগের ছিল, প্রশ্নপত্র ফাঁস। আমরা দিনরাত পড়ে পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছি, আর কেউ যদি সারা বছর না পড়ে আলাদিনের চেরাগের মতো প্রশ্ন পেয়ে যাবে সেটি মেনে নেওয়া কষ্টকর ছিল। তারপরও আমাদের মনোবল চাঙা ছিল, আত্মবিশ্বাস ছিল। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে শখের বই পড়া বাদ দিতে হয়েছিল। বিশেষ করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সায়েন্স ফিকশনগুলো মিস করেছি। অনেক ক্রিকেট খেলা লাইভ দেখার আনন্দ মিস করেছি। ননাই বলতো, এসব পরে পড়া যাবে, পরে দেখা যাবে। আগে পরীক্ষাটা দিয়ে নে।
ইচ্ছে আছে চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার। স্বপ্ন দেখি ডাক্তার হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণে সবার আশীর্বাদই হবে বড় পাওনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি
** পরিকল্পনা পূরণের জন্য মনোবলই প্রধান-অর্ঘ্য জ্যোতি বিশ্বাস