বিগত কতগুলো বছর ধরে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে, এ পরিশ্রমে শিক্ষক-শিক্ষকা, বাবা-মা সবাই অংশীদার।
স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছিলো আমার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যদিও আমি বৃত্তি পেতে অসমর্থ হই, তবে এতে আমি দমে থাকিনি। জেএসসি’র পর শুরু করি এসএসসি’র প্রস্তুতি।
প্রথম দিক থেকে আমি পুরোপুরি একাগ্র মনে পড়াশোনা শুরু না করলেও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় তা অল্প সময়েই শুরু করি।
যখন এসএসসি পরীক্ষার সময় চলে আসে, ঈশ্বরের আশির্বাদে প্রত্যেক পরীক্ষাই খুব ভালো দিতে থাকি। কিন্তু ফলাফলের সময় বোর্ডের রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কথা শুনে কিছুটা শঙ্কায় ছিলাম।
রেজাল্টের দিন খবর পেয়ে ছুটে আসে আমার বন্ধুরা। সবাই খুব মজা করি। সময়টা ছিলো আনন্দের। তবে আমার ছোট কাকার (পলাশ কুমার দে) অকাল মৃত্যু’র দুঃখ আমাকে তাড়া করে বেড়িয়েছে।
পরীক্ষার মাত্র দুই দিন পরে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো কাকা না ফেরার দেশে চলে যান। তবে তিনি হয়তো কোথাও বসে আমার এ সাফল্য দেখছেন।
আমার সাফল্যের পেছনে আমার মা (অপু রানী দে) ও বাবা (স্বপন মুার দে)’র পর শ্রদ্ধেয় সালাউদ্দীন, গোবিন্দ, নিলয় ও সাগর স্যারের ভূমিকা অনেক।
ছাত্রজীবনের মূল লক্ষ্য “ছাত্র নং অধ্যয়ন নং তপ”। এ সময় জীবনের বীজ রোপিত হয় এবং আমি এই সময়ের যথার্থ ব্যবহার করতে চাই। সারাদিন পড়াশোনা না করে মন দিয়ে দিনে রাতে কয়েকঘণ্টা অধ্যয়ন করেই এ সফলতা পেয়েছি।
বিত্তশালী, সুবিধাবাদী না হয়ে আমি চাই বড় হয়ে একজন আদর্শ চিকিৎসক হিসেবে পীড়িতদের সেবা দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, মে০৬, ২০১৭
এএটি/আরআই