সরেজমিনে দেখা যায়, ত্রিমোহনীর গুদারাঘাট দিয়ে গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে নড়াই নদীর উপরে নির্মিত প্রায় ৩শ’ ফিট দীর্ঘের বাঁশের সাঁকো। যা কিনা ওই ইউনিয়নের প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বাঁশের সাঁকোটি পার হয়ে একটু বামে গেলেই নাসিরাবাদ গ্রাম। তার পরেই দাসেরকান্দি গ্রাম। এই গ্রামও রয়েছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তা না থাকায় গ্রামবাসীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বাঁশের সাঁকো ও নৌকা।
দাসেরকান্দি গ্রামের প্রধান সড়কেই চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। চারিদিকে সবুজে ঘেরা এ গ্রামটি দেখলে বিশ্বাসই হবে না গাড়িতো দূরের কথা এ গ্রামের রাস্তা দিয়ে সাইকেলও চলে না। অথচ এ রাস্তা দিয়েই ফকিরখালী, ইদারকান্দি, বালুপাড়, বাবুর জায়গা, নাগদারপাড়, গৌড়নগর যেতে হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার লোক এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।
রাস্তা না থাকায় ধানের বোঝা নিয়ে এঁকে-বেঁকে চলছে কৃষকরা। কোনো মালামাল বহনে গ্রামবাসীর প্রধান বাহন হচ্ছে নৌকা।
প্রায় ৮.৬২ বর্গমাইল আয়তনের এ নাসিরাবাদ ইউনিয়নের জনসংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। মাত্র একটি রাস্তা তাও আবার কাঁচা। রাস্তাটি দাসেরকান্দি থেকে ফকিরখালী হয়ে বেড়াইদ গিয়ে মিলেছে। গ্রামবাসী গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ থেকেও বঞ্চিত। উন্নয়নের আশায় বুক বেঁধে আছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
ওএইচ/এসএইচ