কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আমার পরীক্ষা তো ফেব্রুয়ারি মাসেই। তখন মা বলতেন, রান্না করে খেয়ে পড়ে নিতে।
এরই মধ্যে পরীক্ষা শুরু হলো, বাবা-মা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিলেন। পরীক্ষা তো সকাল ১০টায়। তাই পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে রান্নাবান্না করে দিদিমণিকে (শচী রাণী বড়ুয়া) খাবার দিয়ে, নিজে খেয়ে তারপর পরীক্ষা দিতে যেতাম। আগে থেকেই আমার জিপিএ-৫ পাওয়ার টার্গেট ছিল। কেননা, এসএসসিতে আমার বোন হিমু দিদি ও লাবণ্য দিদি এবং ভাই চিন্ময় জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
তা ছাড়া মা সবসময়ই বলতেন আমাকেও জিপিএ-৫ পেতেই হবে। এ লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। সব বাধা ডিঙিয়ে আমি বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছি। স্কুলের সম্মানিত সব শিক্ষক এবং মামাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের ঐকান্তিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় আমি সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পেরেছি।
মহান শিক্ষকতা আমার দাদুর পেশা ছিল। কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার ব্রত।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এসবি/টিসি