ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মা যখন জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন তখন ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৭
মা যখন জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন তখন ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল মো. মুনতাসীর আমীন সিজান

আমি মো. মুনতাসীর আমীন সিজান। আমি পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি খুলনা জেলার চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ গোল্ডেন-৫ প্লাস পেয়েছি।

আমি যখন জানতে পারলাম আমি গোল্ডেন-৫ পেয়েছি তখন নিজেকে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। খুশিতে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।

বাড়িতে যাওয়ার পর মা যখন জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন তখন নিজেকে বড়ই ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। আর আব্বু যখন রাতে বাসায় এসে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন, সন্তান হিসেবে এর চেয়ে কী আর পাওয়া হতে পারে।
 
আর একটি কথা, আমার আব্বু এম রুহুল আমীন  একজন সাংবাদিক। আব্বু দৈনিক লোকসমাজের ডুমুরিয়া সংবাদদাতা ও চুকনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি। ছোটবেলা থেকেই আব্বু আমাকে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ সেটা বুঝিয়েছেন। আর এখনও আব্বু প্রায়ই বলেন, আমি যেনো এমন কিছু না করি যেনো বাবা-মায়ের সম্মানহানি হয়।
 
আমার এই সফলতার পেছনে আমার বাবা-মা ও পরিবারের সবার অবদান রয়েছে। সবাই আমাকে ছোট থেকেই খুব ভালোবাসেন। সবার সাপোর্ট পেয়েই আমি এই রেজাল্ট করেছি। এছাড়া আমার এই সাফল্যে সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়
করছি এবং আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাইছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।