ভ্রমণ পিপাসুদের অভিনন্দন জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আকারের কৃষ্ণচূড়া গাছটি লাল রঙয়ের ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। সে এক অপরূপ দৃশ্য।
প্রধান ফটকের সামনে গাছের নিচে পড়ে থাকা রক্তিমাবর্ণ ফুলগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের লাল গালিচার সংবর্ধনায় মুহূর্তেই ভুলিয়ে দেয় সব ক্লান্তি।
পাতাহীন গাছে থরে থরে সাজানো রক্তিম ফুলগুলো যেন অদ্ভুত ভালোলাগার এক আবেশ ছড়িয়ে দিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনার সামনের গাছে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আলোয় উদ্ভাসিত আকাশ। গাছের নিচে পড়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া দেখে মনে হয় এ যেন লাল কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে ভ্রমণ পিপাসুদের স্বাগত জানাবে বলে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়তে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বরে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের চোখ আটকে যায় অনিন্দ্য সুন্দর লাল রঙয়ের ফুলের থোকায়। সে এক অপূর্ব দৃশ্য।
অন্যান্য গাছকে ছাপিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে অপরূপ সাজের কৃষ্ণচূড়া। থোকায় থোকায় লাল রঙকে বন্দি করে জানাচ্ছে গ্রীষ্মের বার্তা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় কৃত্রিমতায় ভরপুর কোনো শিল্পীর নিপূন কারুকার্য। যা দর্শকদের ভালো লাগার এক অজানা আবেশ তৈরি করে। অপরূপ কারুকার্যের কৃষ্ণচূড়া মুহূর্তেই ভ্রমণ পিপাসুদের চোখ ও মন জুড়িয়ে দেয়।
কৃষ্ণচূড়ার আরেক নাম হলো গুলমোহর যার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। ভিনদেশী এ ফুল আমাদের দেশে নতুন নামে (কৃষ্ণচূড়া) পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বসন্তকাল থেকে নিঃশব্দে ঝরে যাওয়া বিবর্ণ পাতাগুলোর জায়গা একটু একটু করে দখল করে নিতে থাকে রক্তিম ফুল। গ্রীষ্মে মনে হয় হঠাৎই যেন আগুন লেগেছে গাছ জুড়ে।
সম্প্রতি পাবনা থেকে ঘুরতে আসা স্কুল শিক্ষক তাসনিম আহমেদ বলেন, ‘আমি তো এখানে এসে কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে পড়ে গেলাম। মন বলছে যতটা সময় পারি শুধু কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে সময় কাটাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
আরএ