৪ মে ফলাফল প্রকাশিত হবার পর আনন্দ ও উত্তেজনায় আমি কেঁপে উঠলাম। এখনও সমস্ত হৃদয়জুড়ে এক অপার আনন্দ ও সোনালি ভোরের ইঙ্গিত দেখা দিচ্ছে।
আমার এই গৌরবজ্জ্বল সফলতার পেছনে আমার মা-বাবা, ছোটবোন, স্কুল, শিক্ষক-শিক্ষিকার অসীম অবদান রয়েছে।
আশানুরূপ ফলাফলের জন্য মা দিপিকা ঘোষকে আমার পেছনে বেশি সময় দিতে হয়েছে। আর ছোট বোনকে একা থাকতে হয়েছে, যা সে নিজেই মেনে নিতো।
বাবা শ্যামল কৃষ্ণ ঘোষকে চাকরির কারণে দূরে থাকতে হলেও সবসময় আমার ওপর আস্থা রাখতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন আমি ভালো ফল করবো।
সীমিত শিক্ষকের কাছে পড়াশুনা আর সকাল-বিকেল মাত্র ৪ ঘণ্টা উৎসাহ নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। পড়াশুনা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না, এটি নিজের সন্তুষ্টি, আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে করতে হয়।
নিজের প্রিয় বিষয় বিজ্ঞান, তাই এ নিয়ে পড়ছি। আর যার যে বিষয়টি প্রিয় সেটা নিয়ে পড়লে পড়াশুনায় উৎসাহ আরও বাড়ে। পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসি বিধায় ছবিও আঁকি।
মায়ের প্রথম স্বপ্নপূরণ করে এবার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে চলতে চাই। সৃষ্টিকর্তা ও সবার আশীর্বাদে নিজের ও পরিবারের পরিশ্রমে নাগরিক হিসেবে যাতে দেশের জন্য কিছু করতে পারি।
সৃজনশীল ও স্টান্ডার্ডাইজেশন পরীক্ষা পদ্বতির নতুন সংস্করণে বোর্ডবই সূক্ষ্ণভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়লে আমার মতো জীবনের প্রথম ধাপে সকল শিক্ষার্থীর সফলতা অর্জন সম্ভব।
এসএসসি পরীক্ষা ভবিষ্যতের ভিত গড়ে তাই পরিশ্রম করলে ভালো ফলাফল জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
আমার জন্য গুরুতুল্য সকল মানুষই আশীর্বাদ করবেন যাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
এক শিক্ষার্থীর সফলতার কাহিনী আরও লাখো শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফলের অনুপ্রেরণা দেবে, তাই বাংলানিউজের এমন উদ্যোগের কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
এমজেএফ