ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

হোটেল রুমের ‘হাফ ইউজড্’ সাবানগুলো কোথায় যায়?

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
হোটেল রুমের ‘হাফ ইউজড্’ সাবানগুলো কোথায় যায়? হোটেল রুমের ‘হাফ ইউজড্’ সাবানগুলো কোথায় যায়?

ঢাকা: কাজ বা ঘোরাঘুরির প্রয়োজনে কম-বেশি প্রায় সবাইকেই দেশে-বিদেশে বিভিন্ন হোটেলে থাকতে হয়। তারকাভেদে হোটেলগুলোতে সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন টয়লেট্রিজ। তিন বা পাঁচ তারকা মানের হোটেলগুলোতে সাবান-শ্যাম্পুর সঙ্গে কন্ডিশনার, বডি লোশন, রেজর, পারফিউম প্রভৃতি প্রসাধন সামগ্রীও দিয়ে থাকে।

তবে তারকা থাকুক বা না থাকুক, যতো সস্তা হোটেলই হোক— রুমপ্রতি একটি সাবান অন্তত দিয়ে থাকে। অনেকে হোটেল ছাড়ার সময় প্রসাধন সামগ্রীগুলোও নিয়ে আসেন।

আনতে কোনো বাধা নেই, ওগুলো আপনার জন্যই দেওয়া। তবে অধিকাংশই হাফ ইউজ বা অর্ধেক ব্যবহার করে সেগুলো রেখে আসেন।

সাবান যেহেতু সব হোটেলে কমন, তাই এটা নিয়ে প্রশ্নটি করা যাক। কখনও ভেবেছেন, এই অর্ধেক ব্যবহার করা সাবানগুলোর কী হয় বা কোথায় যায়?

প্রতি বছর ভ্রমণ হোক বা কাজ, সবচেয়ে বেশি মানুষ যায় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার একটি গবেষণা বলছে, দেশটিতে প্রায় ৪৬ লাখ হোটেল রুম। ৯৬ শতাংশ মানুষ প্রসাধনীগুলো অর্ধেক ব্যবহার করে রেখে আসেন।

বুঝতেই পারছেন, শুধু এই একটি দেশেই রোজ জমা হয় লাখ লাখ অর্ধেক ব্যবহার হওয়া সাবান। এবং এগুলো অবশ্যই বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয় না।

সাবানগুলো নিয়ে যায় ‘ক্লিন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি সংস্থা। তাদের গ্লোবাল সোপ প্রজেক্টের (জিএসপি) অধীনে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাবান সংগ্রহ করে রিসাইকেল করা হয়। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অর্ধেক ব্যবহার হওয়া সাবান থেকে নতুন সাবান তৈরি করে বিনামূল্যে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে পাঠানো হয় বলে দাবি তাদের।

বলাই বাহুল্য, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়ায়। সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এসব বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করছে বলে জানায়।

তারা আরও জানায়, শুধু সাবানই নয় একইভাবে অর্ধেক ব্যবহার হওয়া শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, কন্ডিশনার প্রভৃতিও রিসাইকেল হয়ে নতুন রূপে ফিরে যাচ্ছে কোনো উন্নয়নশীল দেশে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।