ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

চাঁদে বায়ুমণ্ডল ছিল, দাবি নাসার

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৭
চাঁদে বায়ুমণ্ডল ছিল, দাবি নাসার ফাইল ফটো

ঢাকা: এতোদিন চাঁদকে বায়ুমণ্ডলহীন একটি উপগ্রহ হিসেবেই জেনে এসেছে মানুষ। সম্প্রতি সে ধারণায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে নাসার নতুন এক গবেষণা।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দাবি করেছে, প্রায় ৩শ থেকে ৪শ কোটি বছর আগে চাঁদে বায়ুমণ্ডল ছিল। আর চাঁদের এ বায়ুমণ্ডল ছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতোই শক্তিশালী।

চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ সদা পরিবর্তনশীল। এর পৃষ্ঠের বৃহদাকার গহ্বরগুলোই এর প্রমাণ। কিছু গহ্বর উল্কার আঘাতে তৈরি হয়েছে। আর কিছু গহ্বর তৈরি হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে।

৩শ থেকে ৪শ কোটি বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে অতিদ্রুত চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠে লাভা ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিপুল বাষ্প নির্গত হয়। বেশিরভাগ বাষ্পই মহাশূন্যে হারিয়ে যায়। আর কিছু বাষ্প চাঁদের উপরিভাগে থেকে যায়। এভাবেই চাঁদের বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছিল। চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে এতে কার্বন মনোক্সাইডসহ বায়ুমণ্ডলের কিছু পরিবর্তনশীল উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস’ জার্নালে নাসার গবেষক ডেবরা নিডহামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে এসব তথ্য জানা যায়।

ডেবরা নিডহাম বলেন, চাঁদের বায়ুমণ্ডল মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের চেয়েও দেড় গুণ ঘন ছিল। আর তা আকৃতিতে ছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চেয়েও তিনগুণ বড়। চাঁদের বায়ুমণ্ডল হারিয়ে যাওয়ার আগে তা প্রায় সাত কোটি বছর ধরে সেখানে ছিল।

অ্যাপোলোর মিশনে চাঁদ থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেই গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে এসেছেন।

গবেষকরা ধারণা করছেন, যে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এ বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়েছিল তার উৎস এখনও চাঁদের কোনো শীতল এলাকায় অবস্থান করছে।

ভবিষ্যতে পরিকল্পিত চন্দ্র অভিযানের সময় এ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।