কাগজের পত্রিকার যুগ কি শেষ হয়ে যাচ্ছে- এমন একটা জিজ্ঞাসা বিশ্বজুড়েই জারি আছে। এর একটা প্রায়-সুনির্দিষ্ট জবাব দিয়েছেন জাতিসংঘের মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক সংস্থার প্রধান ফ্রান্সিস গুরি।
ডেইলি লা ট্রিবিউন দ্য জেনেভায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছরের মধ্যেই আর কাগজে ছাপা সংবাদপত্র দেখতে পাওয়া যাবে না। এটা আসলে বিবর্তনের ফল। এর মধ্যে কোনো ভালো বা মন্দ নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্ব থেকেই ২০৪০ সালের মধ্যে উঠে যাবে ছাপা সংবাদপত্র। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাগুজে সংবাদপত্র উঠে যাবে ২০১৭ সালের মধ্যে। ’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনই কাগুজে সংবাদপত্রের চেয়ে ডিজিটাল সংবাদপত্র বেশি বিক্রি হচ্ছে। শহরগুলোতে বইয়ের দোকানের সংখ্যাও কমছে।
এখানে সংবাদপত্র বিক্রির অর্থ উঠিয়ে আনাটাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এরও একটা সমাধান দিয়েছেন গুরি। বলেছেন, একজন সম্পাদক তার কলাম লেখকের হাতে সম্মানী তুলে দিতে পারবেন সহজেই। তবে এক্ষেত্রে কপিরাইটের বিষয়টি খুব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজুড়েই কাগুজে পত্রিকা একটি ব্যবয়বহুল প্রক্রিয়া। এর বিনিয়োগ যেমন বেশি, তেমনি এটি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ কাগজ উৎপাদনের জন্য ব্যাপকহারে গাছপালা ধ্বংস করতে হয়। আবার খবর পরিবেশনও করতে হয় বিলম্বে। অন্যদিকে অনলাইন পত্রিকায় বিনিয়োগ যেমন কম, তেমনি এটি পরিবেশবান্ধব। আর অনলাইনগুলো চাইলে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তার খবর পাঠককে জানিয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১১