নভোচারী হওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। এর জন্য যেমন অনেক সাধ্যসাধনার দরকার হয়, তেমনি বড় কোনো সংস্থায় সুযোগ পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার।
তবে শুধু সাহসী আর আগ্রহী হলেই চলবে না, সুনির্দিষ্টভাবে গণিত, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অন্তত তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে। প্রার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে যাদের নির্বাচন করা হবে, তাদের ২০১৩ সালের আগস্টে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে নাসা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার প্রশিক্ষণসহ দূর মহাকাশে ভ্রমণের জন্য তাদের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
মার্কিন জাতীয় গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ১৯৯৯ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় ১৫০ জন সক্রিয় নভোচারী ছিলেন। অবসর ও কাজের জন্য অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায় বর্তমানে নভোচারীদের এই সংখ্যা ৬১ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, ১০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সম্পূর্ণভাবে কার্যক্ষম করে তুলতে অনেক মহাকাশচারী দরকার। এছাড়া নাসা বর্তমানে মঙ্গলগ্রহ ও অন্যান্য গ্রহাণুতে মহাকাশচারী পাঠানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০২৫ সালের মধ্যে একটি গ্রহাণুতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানববাহী নভোযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে নাসাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসে নাসা নতুন মহাশূন্যযান পাঠানোর ব্যবস্থার ঘোষণা দেয়, যা তাদের মঙ্গলগ্রহে মানুষবাহী নভোযান পাঠতে সহায়ক হবে।
জনসন স্পেস সেন্টারের ফ্লাইট কার্যক্রমের পরিচালক জ্যানেট কাভান্দি জানান, ‘২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস অবস্থান করাই নভোচারীদের একমাত্র সম্ভাবনা নয়, তাদের আরো অনেক দূরে যেতে হবে। সুতরাং বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য পেশাদার যারা সবসময় মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখে এসেছেন, নভোচারী হিসেবে যোগদানের জন্য এটা তাদের কাছে একটি সুবর্ণ সুযোগ। ’
নতুন নভোচারীরা নাসার অব্যাহত মহাকাশ কর্মসূচিগুলোতেও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১১