ভিনগ্রহের প্রাণীর খোঁজে বিশ্বের সবচে বড় টেলিস্কোপ নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১০০ কোটি পাউন্ড।
এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ‘ইউরোপিয়ান লার্জেস্ট টেলিস্কোপ’টি হবে এ যাবৎকালের সবচে বড় টেলিস্কোপ। আলোকসংবেদী এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি দিয়ে মহাবিশ্বের সবচে প্রাচীন অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করা যাবে। অন্যদিকে এটি অন্য গ্যালাক্সিতে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধানেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে।
প্রকল্পটির ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। টেলিস্কোপটির মধ্যে স্থাপন করা হবে এমন যন্ত্রপাতির নকশা করেছেন অক্সফোর্ড এবং ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এই যন্ত্রপাতিগুলো এতই উন্নতমানের হবে বলে আশা করা হচ্ছে যে, এটি দূরবর্তী কোনো গ্যালাক্সির নক্ষত্র আর গ্রহেরও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবে। তাদের দাবি, এত শক্তিশালী যন্ত্র এর আগে কখনও তৈরি হয়নি।
টেলিস্কোপটি এখনও দেখা সম্ভব হয়নি মহাকাশের এমন বস্তু; যেমন শীতল নক্ষত্র এবং অন্যান্য গ্রহের ছবি তুলতে ও তাদের আবহাওয়ামণ্ডল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। ওইসব গ্রহ-নক্ষত্রের আবহাওয়ামণ্ডল জীবনের জন্য অনুকূল কি না তাও পরীক্ষা করতে পারবে।
বিশালাকৃতির এবং উচ্চ প্রযুক্তির এই টেলিস্কোপটি রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও তথ্য দেবে। এসব তথ্য বিগ ব্যাং থেকে কীভাবে গ্যালাক্সি ও ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়েছে তা জানতে বিজ্ঞানীদের কাজে লাগবে।
প্রসঙ্গত, মনে করা হয় মহাবিশ্বের বেশির ভাগ অংশই ডার্ক ম্যাটার দিয়ে তৈরি।
এই টেলিস্কোপটিতে এক হাজারটি আলাদা অংশের সমন্বয়ে ৪০ মিটার প্রশস্ত একটি আয়না থাকবে। ভূ-পৃষ্ঠে স্থাপিত বর্তমান টেলিস্কোপগুলোর ৪ গুণ হবে এর ব্যাসার্ধ যা বর্তমানে ব্যবহৃত সবচে বড় টেলিস্কোপের ১৫ গুণ বেশি আলো ধারণ করতে পারবে।
টেলিস্কোপটি কোথায় স্থাপন করা হবে সে ব্যাপারে আগামী ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে ২০১৮ সালের মধ্যেই ওই অতিকায় টেলিস্কোপটি তথ্য সরবরাহ শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১১