শিক্ষক-অভিভাবকরা বলছেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক আনন্দময় প্রকৃত শিক্ষা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপীঠটি। রয়েছে নিয়মিত ছবি আঁকা, সংগীত, নৃত্য ও স্পোকেন ইংলিশ চর্চা এবং সততা স্টোর।
প্রতি শনিবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শিশু শিক্ষার্থীদের উপযোগী শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেন। চেষ্টা করেন তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে। জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সার্বক্ষণিক তদারকি করেন। দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন।
শহরের পৌরসভা সড়কে গত বছর গড়ে তোলা সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঠদান শুরু হয় চলতি শিক্ষাবর্ষে। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির ১২০ জন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়টিতে রয়েছেন ১০ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রত্যেক শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের চেষ্টা করছি। শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীই সক্রিয়ভাবে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়। বর্তমানে শিক্ষার মান নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। তাই প্রকৃত শিক্ষাটাই শিক্ষার্থীদেরকে দেই। আমরা চাই, তারা প্রকৃত শিক্ষা নিয়েই ভালো ফল করুক, বিকশিত হোক, সাজেশান মুখস্ত করে নয়।
তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক লিপি খাতুন বলেন, ‘সব অভিভাবকই চান, তার সন্তান যেন প্রথম হয়। এজন্য বাচ্চাদের ওপর অস্বাভাবিক চাপ দেন তারা। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সায় দেয়। কিন্তু এতে যে ক্ষতি হয়ে যায়, তা কেউ বুঝতে পারেন না। এক্ষেত্রে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ব্যতিক্রম। এখানে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ না দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। আনন্দের মধ্য দিয়ে পাঠ নিতে উদ্বুদ্ধ ও অভ্যস্ত করা হয়। তাই অভিভাবক হিসেবে নিশ্চিন্তে থাকি’।
‘যেখানে শিক্ষার নিম্নমুখি মান সারা দেশে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে আশার আলো দেখাচ্ছে কালেক্টরেট’।
অধ্যক্ষ সেলিনা আফরোজ বলেন, ‘আমরা প্রথম বছরেই অত্যন্ত সফল, অভিভাবকদের আস্থা অর্জনেও সক্ষম হয়েছি। তাই আগামী বছর প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতেও পাঠদান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আধুনিক, মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা ও উপস্থিতির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। মূলত ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব থেকেই বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা বদ্ধপরিকর’।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এএসআর