ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইসতিয়াক আহমেদ শাওন জানান, ২০১৩ সালের ঈদ-উল ফিতরে ‘প্রজেক্ট নতুন জামা’ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ক্লাবের যাত্রা শুরু। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতি ঈদের আগে মোট ১২২৯ দরিদ্র পথশিশুর হাতে সংগঠনের সদস্যরা পৌঁছে দিয়েছেন নতুন জামা।
ক্লাবের তরুণদের বেশিরভাগই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এছাড়া রয়েছেন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী। নিজেদের জমানো টাকা, বিভিন্ন পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা আর্থিক সহায়তা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রাউড ফান্ডিং করেই চলে ক্লাবের দারুণ সব কার্যক্রম।
ক্লাবটির আরেকটি কর্মসূচির নাম ‘প্রজেক্ট স্কুলিং’। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নতুন স্কুল ব্যাগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১১০০ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন স্কুল ব্যাগ পৌঁছে দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। গত ২৬ জানুয়ারি আরও ৫০০ শিক্ষার্থীর হাতে স্কুল ব্যাগ তুলে দেয় এমএসএসসি।
সম্প্রতি ক্লাবটি তাদের কার্যক্রমে যোগ করেছে ‘প্রোজেক্ট ফরওয়ার্ড’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শহরের কয়েকটি স্কুল থেকে বাছাই করা ২০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য নেওয়া হবে বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা।
ক্লাবের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- মাদারীপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন, বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শহরের লেক পরিচ্ছন্ন রাখা ও এবিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘লেক ক্লিন আপ ক্যাম্পেইন’, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠকসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সংগঠনটি।
ক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইসতিয়াক আহমেদ শাওন বাংলানিউজকে বলেন, ক্লাবের সদস্যদের অনুপ্রেরণা যোগায় ক্লাবের অর্জনগুলো। যেমন প্রোজেক্ট স্কুলিংয়ের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রজেক্ট নতুন জামার মাধ্যমে দরিদ্র পথ শিশুদের ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও বেড়েছে। প্রজেক্ট উষ্ণতার কারণে উষ্ণতা ভাগ করে নিতে পারছেন শীতার্ত মানুষ। প্রজেক্ট ফরওয়ার্ডের কারণে ছাত্রজীবনে কিছুটা হলেও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে শিক্ষার্থীরা। আর এসব অর্জনই আমাদের অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি/এমজেএফ