ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

হাসিমুখে থাকতে চাই: আবু হেনা রনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৬, অক্টোবর ২২, ২০১১
হাসিমুখে থাকতে চাই: আবু হেনা রনি

ভারতের জি বাংলায় জনপ্রিয় কমেডি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৬’ - এ বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা দাপটের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সাফল্যে বাংলাদেশে স্ট্যান্ডআপ কমেডির জনপ্রিয়তাও বেড়ে যাচ্ছে।



স্বপ্নযাত্রা মীরাক্কেলের প্রতিযোগীদের সাক্ষাৎকার বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছে। এবারে স্বপ্নযাত্রার অতিথি মীরাক্কেলের অন্যতম প্রতিযোগী বাংলাদেশের নাটোরের আবু হেনা রনি। মীরাক্কেলে যাওয়ার পর এবারই প্রথম তিনি কোন সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বললেন। তার সাথে কথা বলেছেন ফয়জুল ইসলাম।  
 
ভারতের কলকাতায় থাকায় আবু হেনা রনির সাথে কথা হয় অনলাইনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে রনি উত্তর দিয়েছেন বিভিন্ন প্রশ্নের।

শুরুতেই তিনি তার কমেডির কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মজা করতাম।   মোটকথা আড্ডাটা জমিয়ে রাখার চেষ্টা করতাম। আমি কখনো কারও মন খারাপ থাকতে দিতাম না। মনকে আনন্দ দিতে গিয়েই কমেডির সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। ’

এছাড়াও রনি অকপটেই বললেন এনটিভির ‘হাসো’ অনুষ্ঠানের কথা। বাংলাদেশে স্ট্যান্ডআপ কমেডি শো বলতে ওই একটাই হয়েছিল।   হাসো থেকেই কমেডির প্রতি আরও আগ্রহ অনুভব করলেন তিনি। সে কমেডির ফাইনাল পর্যন্ত তিনি গিয়েছিলেন।
 
স্টেইজ পারফর্ম বলতে এনটিভির হাসো এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৌতুক করেছেন রনি। রাজশাহীর বিভিন্ন গ্রামেও অনুষ্ঠান করেছেন শুনে প্রশ্ন করলাম, আপনার বাড়ি নাটোরের কোথায় এবং সেখানেই কি ছোটবেলা কেটেছে? উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ। আমার বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর গ্রামে। সেখানেই আমার বেড়ে ওঠা। ’
    
এরপর নিজে থেকেই কিছু কথা বলেন। বোঝা যায় নষ্টালজিক হয়ে পড়েছেন। বলেন, ‘আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটার অ্যান্ড মিউজিক বিভাগে পড়াশোনা করেছি। পাশ করেছি খুব বেশিদিন হয়নি। সেখানে অনুষ্ঠানগুলোতে যে হারে পারফর্ম করেছি তা ভুলতেই পারি না। সারাদিন বন্ধুদের সাথে সময়গুলো এখনো মনে পড়ে। ’  

মীরাক্কেল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে টিকে থাকাটাই কঠিন। কতদূর যাওয়া যাবে এখনো জানি না। শুরু থেকেই যুদ্ধ করছি টিকে থাকার। আমার জন্য এখানে আসা কল্পনার মতো। মজার কথা শুনবেন? এখানে আসা নিয়েও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। পাসপোর্ট ও ভিসা সমস্যা ছিল বলে সময় মতো আসতে পারিনি। একমাস পর আমি এখানে আসি। আবার যাবার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসতে দেরি হয়ে যায়। যার কারণে কলকাতা যাওয়ার বাসটা মিস করি। বুঝলেন তো? শুরু থেকেই যুদ্ধ করছি। ’

আমি প্রশ্ন পাল্টে ফেলি। কারণ মনে হচ্ছিল কিছু একটা বাদ দিয়ে এসেছি। তাই অনুপ্রেরণার কথা জিজ্ঞেস করি। তখন একবাক্যে বলেন মায়ের কথা। ‘মা আমাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেন। এছাড়া ভাইয়া আছেন। যিনি শুরু থেকেই আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। আর আমার বন্ধুরা তো বলে, ‘তুই পারবি’। এ বিষয়গুলো আমাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সাহস জোগায়। ’

আইডল হিসেবে রনি মৃদুল ভট্টাচার্য এবং চার্লি চ্যাপলিনকে পছন্দ করেন। রনির স্বপ্ন দেখেন হাসি মুখে বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়ার। সেই সাথে মীরাক্কেল নিয়ে তার তেমন কিছুই চাওয়ার নেই। শুধু বলেন, ‘দোয়া করবেন যাতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল  করতে পারি এবং ভালোভাবে  বাড়ি ফিরতে পারি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।