টেস (ট্রাসজিস্টিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট) স্যাটেলাইটটি নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের মিশনকে সামনে এগিয়ে নেবে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে চারটি প্রচণ্ড শক্তিশালী ক্যামেরা যা মহাকাশের ৮৫ শতাংশ দৃশ্যের ওপর চোখ রাখতে পারবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করেছেন। এক্সোপ্ল্যানেট বলতে মূলত বোঝায়, সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহ যা নির্দিষ্ট কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস টেস স্যাটেলাইটের দুই বছরের মিশনে আরও পাঁচ গুণ এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পাওয়া যাবে। আর নতুন আবিষ্কৃত এসব গ্রহের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব পেয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক হবে না।
স্পেসএক্সের পুনর্ব্যহারযোগ্য রকেট ফ্যালকন-৯ স্যাটেলাইটটি নিয়ে মহাকাশের পথে রওয়ানা হওয়ার ৫০ মিনিট পর নির্ধারিত দূরত্বে পৌঁছে যায়। পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করতে লাগবে কমপক্ষে ১৩ দিন। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে স্যাটেলাইটটির মূল মিশন শুরু করতে সময় লাগবে আরও দুই মাস।
নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ডিভিশনের পরিচালক পল হার্টজ বলেন, কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মহাকাশে নক্ষত্রের তুলনায় গ্রহের সংখ্যাই বেশি। টেস স্যাটেলাইট নিকটবর্তী নক্ষত্রগুলোর গ্রহের বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের জানাবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে একটি গ্রহের ভর, ঘনত্ব, বায়ুমণ্ডলীয় উপাদানসহ অনেক বিষয়।
টেস প্রোজেক্টের একজন বিজ্ঞানী স্টিফেন রাইনহার্ট বলেন, মহাকাশ গবেষণার জন্য স্যাটেলাইটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাকে এক্সোপ্ল্যানেট গবেষণার নতুন যুগের সূচনা বলা যায়।
২০০৯ সালে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ পাঠানো হয়। কেপলার মিশনের উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর মতো বৈশিষ্ট্যের গ্রহগুলো খুঁজে বের করা। আট বছরে গবেষকরা অনেক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলোর বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর খুব কাছাকাছি।
কেপলার মিশনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারগুলোর একটি ধরা হয় ট্র্যাপিস্ট-১ নক্ষত্রকে। ৩৯ আলোকবর্ষ দূরের এই বামন নক্ষত্রটি প্রদক্ষিণ করছে সাতটি পৃথিবীর মতো ছোট ছোট গ্রহ। এরমধ্যে তিনটি গ্রহের পরিবেশ পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলছেন, এ গ্রহগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রাণের বিকাশ ঘটে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ