ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে নাইজেরিয়ান সঙ্গীত

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৬, অক্টোবর ২৯, ২০১১
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে নাইজেরিয়ান সঙ্গীত

নাইজেরিয়া সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হলে শুরুতেই মনে পড়বে তাদের ফুটবল দলের কথা। এইতো সেদিন বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সঙ্গে তারা ফুটবল খেললো।

ফুটবল ছাড়া দেশটি নিয়ে খুব একটা মাতামাতি হতে দেখা যায় না। সেখানকার তরুণ সমাজ সম্পর্কেও মিডিয়াতে খুব কম কথাই আলোচিত হয়।

তারা কেমন? তারা কী করে? কী মনে করে? বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুণদের প্রশ্ন করলে কজন উত্তরটি বলতে পারবেন? কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে নাইজেরিয়ার তরুণরা এবারে ওয়ার্ল্ড সামিট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গেছে। তাও আবার সঙ্গীতনির্ভর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে।

গত ২৭ অক্টোবর ঘোষণা করা হয় ‘প্লেমাইজেময’ (http://www.playmyjamz.com/) নামে মিউজিক সাইটটি ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এ সাইটে অবহেলিত মিউজিশিয়ানরা তাদের সৃষ্টি গান বা মিউজিক আপলোড এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।

নাইজেরিয়ার তরুণদের কাছে সাইটটি এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। প্রত্যেকে তাদের সৃষ্টিশীল কাজ এখানে তুলে ধরেন। বলতে গেলে সঙ্গীতনির্ভর একটি ব্লগে পরিণত হয়েছে ‘প্লেমাইজেময’। যে কেউ ওয়েবসাইট থেকে যে কোনো গান ও মিউজিক ডাউনলোড করে শুনতে পারবেন।

এ পর্যন্ত দু’শতাধিক মিউজিশিয়ান এ সাইটটির মাধ্যমে নিজেদের গানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। প্লেমাইজেমযকে অনলাইনে পরিচিতি পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। যে কোনো শিল্পী এখানে তাদের প্রোফাইলও তৈরি করতে পারবেন।

প্লেমাইজেমযের প্রতিষ্ঠাতা আকিনেলে ওলুবদুন তার সাইটটি সম্পর্কে বলেছেন, প্রতিদিন অসংখ্য প্রতিভাবান তরুণদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। প্রত্যেকের চোখে আমি স্বপ্ন দেখতে পাই। তারা স্বপ্ন দেখে একদিন এ দেশটি উন্নতির শিখরে পৌঁছবে। কিন্তু কীভাবে? তাদের নিজেদের প্রকাশ করার কোনো জায়গাই নেই। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা তাদের প্রতিভা বিক‍াশ করতে পারবে। তাদের সুযোগ প্রয়োজন ছিল। আমি বহুদিন ধরে মিউজিক নিয়ে কাজ করি। আর তাই আমার জায়গা থেকেই তাদের সে সুযোগ করে দিলাম। প্লেমাইজেমযের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার অসংখ্য তরুণ তাদের সৃষ্টিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরছে।

আগামী ১২ নভেম্বর আকিনেলে এবং তার দল আন্তর্জাতিক এ পুরস্কারটি গ্রহণ করবেন। ওয়াল্ড সামিট ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রিয়ায়। নাইজেরিয়ার এ প্রাপ্তি সেখানকার তরুণদের নতুন স্বপ্ন দেখাবে বলে আশা করছেন সবাই।

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক মন্দা সবকিছুকে ছাপিয়ে এমন প্রাপ্তি নাইজেরিয়ার তরুণদের নতুন উদ্যোগ সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে।

বিশ্বে যারা ই-কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে, তারাই মূলত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজের দেশকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা যারা করে, তাদের দিকেই নজর থাকে ওয়ার্ল্ড সামিট কমিউনিটির বিচারকদের। প্লেমাইজেময পাচ্ছে মাল্টিমিডিয়া অ্যাওয়ার্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।