কফিনটি পাওয়া যায় মাটির ১৬ ফুট নিচে। প্রায় হাজার বছরের পুরনো রহস্যময় কফিনটি টলমাইক যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আলেকজান্দ্রিয়ার সিদি গাবের অঞ্চলে খনন কাজ চালাচ্ছেন মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব এন্টিকুইটিসের একদল গবেষক। এসময়ই গ্রানাইট পাথরের রহস্যময় কফিনটির সন্ধান মেলে। কফিনের পাশে পাওয়া যায় অ্যালাবাস্টারের তৈরি বিশালাকৃতির এক মাথা। এগুলো ছাড়াও এ অঞ্চলে টলমাইক যুগের বেশ কিছু নিদর্শনের সন্ধান মেলে।
প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান আইমান আশমাওয়ে বলেন, কফিনের মূল কাঠামো ও ঢাকনার মাঝখানে মাটির স্তর শনাক্ত করা গেছে, অর্থাৎ কফিনটির ঢাকনা লাগানোর পর থেকে তা আর খোলা হয়নি। তবে এই কফিনে কাকে কবর দেওয়া হয়েছিল সেটা এখনও রহস্যই রয়ে গেছে।
গত মে মাসে, টলমাইক যুগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের কথা জানায় মিশরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়। সান এল-হাগার অঞ্চলে খনন কাজ চালিয়ে পাওয়া যায় রোমানদের ব্যবহৃত বিশাল এক গোসলখানা। ৫২ ফুট দৈর্ঘ্যের লাল ইটের এই কাঠামোতে পাওয়া যায় বিপুল সংখ্যক মাটির পাত্র, টেরাকোটার মূর্তি, ব্রোঞ্জের হাতিয়ার, পাথরের সাজসজ্জা ইত্যাদি।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি ছিল খুবই ছোট এক স্বর্ণমুদ্রা। এতে রাজা তৃতীয় টলেমির মুখমণ্ডল খোঁদাই করা ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ টলেমির শাসনামলে মুদ্রাটি তৈরি হয়েছিল। ২.৬ সেন্টিমিটার ব্যাসের মুদ্রাটির ওজন ২৮ গ্রাম।
টলমাইক যুগের স্থায়িত্বকাল খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ সাল থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩০ সাল পর্যন্ত। সুতরাং, এ যুগের বেশিরভাগ নিদর্শন বা স্থাপনা দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
এনএইচটি