বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারাগারের চিত্রটা কেমন, সেটা দেখে নেওয়া যাক:
আরানহুয়েজ প্রিজন, স্পেন
স্পেনের আরানহুয়েজ কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে তাদের সন্তানদেরও থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। আর এ কারণে শিশুদের থাকার উপযোগী রুম, খেলার মাঠ ও বাগান রয়েছে কারাগারে।
লুজিরা প্রিজন, উগান্ডা
উগান্ডার লুজিরা কারাগারের বন্দিরা বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। বন্দিরা সেখানে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। সেখানে প্রতি ৩৫ জন বন্দির জন্য একজন করে কারারক্ষী রয়েছেন, যেখানে যুক্তরাজ্যে প্রতি ১৫ জন বন্দির জন্য একজন করে কারারক্ষী রাখা হয়। এ কারাগারে অপরাধপ্রবণতাও কম। লুজিরায় অপরাধপ্রবণতার হার ৩০ শতাংশেরও কম, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে অপরাধপ্রবণতা ৭৬ শতাংশ।
বাস্টয় প্রিজন, নরওয়ে
এ কারাগারটির অবস্থান নরওয়ের অসলো ফিয়র্ডের বস্টয় দ্বীপে। পুরো দ্বীপ জুড়েই গড়ে উঠেছে কারাগারটি। দেখলে মনে হবে কারাগারটি যেন ছোট একটি গ্রাম। এই এলাকায় রয়েছে ৮০টির মতো ভবন, রাস্তা, সৈকত, সাংস্কৃতিক স্থাপনা, ফুটবল মাঠ, কৃষি জমি ও বনভূমি। কারাগারে আরও রয়েছে দোকান, লাইব্রেরি, স্বাস্থ্যসেবা, গির্জা, স্কুল, ফেরি সার্ভিস ও লাইট হাউজ।
সান ডিয়েগো উইমেন প্রিজন, কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার এই কারাগারের নারী বন্দিরা সাজা শেষে হয়ে ওঠেন দক্ষ রাঁধুনি, রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার, ওয়েটার কিংবা ডিশওয়াশার। কারাগারের একটি অংশে খোলা হয়েছে ‘ইন্টার্নো’ নামের এক জাঁকজমকপূর্ণ রেস্টুরেন্ট। বন্দিরাই চালান এই রেস্টুরেন্ট। চুরি, মাদক চোরাচালান বা চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত নারীদের এই কারাগারে রাখা হয়।
হালডেন প্রিজন, নরওয়ে
হালডেন কারাগার হচ্ছে নরওয়ের ম্যাক্সিমাম-সিকিউরিটি প্রিজন। গোটা বিশ্ব থেকে বন্দিদের পাঠানো হয় এখানে। ২০১০ সালে স্থাপিত এ কারাগারের মূল ফোকাস বন্দিদের পুনর্বাসন। বন্দিরা এখানে গানবাজনা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কাজকর্মের সুযোগ পান। অসাধারণ ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য এই কারাগারকে আর্নস্টেইন আর্নিবার্গ পুরস্কার দেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষের উদার ধ্যানধারণার কারণে বেশ সমালোচিতও হয়েছে কারাগারটি।
ওনোমিচি প্রিজন, জাপান
এটি প্রবীণদের জন্য বিশেষ কারাগার। এখানের বন্দিদের জন্য নরম খাবার দেওয়া হয় এবং চলাচলের সহায়ক হ্যান্ডড্রিল দেওয়া হয়। বন্দিরা অবসর সময়ে সেলাই করেন।
নর্জারহ্যাভেন প্রিজন, নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসের এই কারাগারে বন্দিদের জন্য রয়েছে বিছানা, ফার্নিচার, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, এমনকি একটা ব্যক্তিগত গোসলখানাও। তারপরেও এ কারাগারে তেমন কেউ আসে না। কারণ নেদারল্যান্ডসে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ২০১৫ সাল থেকে নরওয়ের বিভিন্ন কারাগারে কয়েদির সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে নর্জারহ্যাভেনে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৮
এনএইচটি/আরআর