সাধারণ ধান থেকেই মানুষের রক্ত রসের অ্যালবুমিন (এইচএসএ) উৎপাদন করা যাবে! এই দাবি চীনা একদল গবেষকের। আর ধান থেকে অ্যালবুমিন উৎপাদনের কৌশলও তারা উদ্ভাবন করে ফেলেছেন বলেও দাবি করছেন।
আমেরিকান ন্যাশনাল রেড ক্রসের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. রিচার্ড জে. বেনজামিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই উদ্ভাবনকে একটি উৎসাহব্যাঞ্জক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বলা যায়। এটা সম্ভব হলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে বিপুল পরিমাণ প্রোটিন তৈরি করা যাবে। ’
গবেষণা প্রতিবদেন থেকে জানা যায়, গবেষক ইয়াং হি এবং তার সহকর্মীরা ধানবীজের মধ্যে এই বিশেষ প্রোটিনটি তৈরি করার কৌশল উদ্ভাবন করেছেন এবং সেখান থেকে পরে নিষ্কাশন করতে পেরেছেন। প্রতি কেজি ধান থেকে তারা ২ দশমিক ৭৫ গ্রাম এইচএসএ নিষ্কাশন করেছেন।
নিষ্কাশিত এই প্রোটিন ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে তারা দেখেছেন এটি রাসায়নিকভাবে হুবহু মানুষের এইচএসএর মতো কাজ করে।
বর্তমান প্রচলিত পদ্ধতির সীমাবদ্ধতার বিষয় উল্লেখ করে ড. বেনজামিন বলেন, ‘বর্তমানে এই প্রোটিন রক্ত থেকে নিষ্কাশন করার কারণে অনেক ঝুঁকি থাকে। যেমন, এটি গ্রহণকারীর শরীরে রোগ সংক্রমণে ভূমিকা রাখতে পারে। ’
আগুনে পোড়া অথবা রক্তস্বল্পতার কারণে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় তরল হিসেবে হাসপাতালে এইচএসএ ব্যবহার করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, তারা দেখেছেন, ট্রান্সজেনিক (জিনগতভাবে পরিবর্তিত) ধানবীজ এইচএসএর একটি সুলভ উৎস হতে পারে। বিশ্বব্যাপী এই প্রোটিনের যে পরিমাণ চাহিদা তা এই উৎস থেকেই উৎপাদন করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তারা ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০৬১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১১