ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ওঝাদের ঝাপান প্রতিযোগিতা

জুলফিকার আলী কানন, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫২, নভেম্বর ২, ২০১১
ওঝাদের ঝাপান প্রতিযোগিতা

বাবুরাম সাপুড়ে/কোথা যাস বাপুরে/আয় বাবা দেখা যা/দুটি সাপ রেখে যা-- কবির এ চেনা চরণগুলো আবহমান গ্রামবাংলার সাপখেলার এক ঐতিহ্য বহন করে। ঐতিহ্যবাহী এ সাপখেলা আজও গ্রামবাংলার মানুষকে আলোড়িত করে।



সম্প্রতি সাপের সাথে নাচের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামে হয়ে গেল ‘ঝাপান প্রতিযোগিতা’। ঝাপান হলো সাপ খেলার প্রতিযোগিতা। একের অধিক সাপুড়ের দল তাদের সাপের সংগ্রহ নিয়ে গ্রাম এলাকায় বাগান অথবা ফাঁকা মাঠের মঞ্চে এই প্রতিযোগিতা করে। বাজনা ও গানের তালে তালে তাদের নিজ নিজ সাপের প্রদর্শনসহ খেলা দেখায়। যে দল তাদের সাপ নিয়ে লোমহর্ষক খেলা দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে পারবে, সেই দল এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে। অনেকে এই খেলায় জিততে সাপের কামড়ও খায়।

এই প্রতিযোগিতায় দর্শকরাই বিচারক। বিজয়ী দলকে সাধারণত টাকা দেওয়া হয়। মদনাডাঙ্গা গ্রামের এ প্রতিযোগিতায় ৪টি সাপুড়ে দল অংশগ্রহণ করে। আর সাপখেলা উপেভোগ করেন এলাকার কয়েক হাজার দর্শক। মদনাডাঙ্গা গ্রামের সাপুড়ে হেমাত আলী এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের সাপুড়ে আজগর আলী বাংলানিউজকে জানান, ৩৭ বছর যাবৎ সাপের খেলা দেখিয়ে ও সাপ ধরে এলাকার মানুষকে নানাভাবে আনন্দ দিয়ে আসছি।

হাড়িয়াদহ গ্রামের হাজী ইসমত আলী বাংলানিউজকে জানান, সাপ একটি হিংস্র প্রাণী। আমি এলাকার শত শত সাপে কাটা মানুষের চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লার রহমতে আমার কাছে আসা কোনো সাপে কাটা রোগীর সমস্যা হয়নি।
তবে তিনি সাধারণ মানুষকে সাপ থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।