লেইক শো হোটেলের লা-ভিটা হলটি পূর্ণ হয়ে উঠছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
১২ নভেম্বর লেইক শো হোটেলে হয়ে গেল বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার আয়োজিত ‘লিডারশিপ ট্রেনিং’ কোর্সের উদ্বোধনী পর্ব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) পরিচালক ইভদাদ আহমেদ খান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে ৮৩৫ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৪৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ৪৩ জনকে নিয়েই পরবর্তী চার মাস লিডারশিপ সংক্রান্ত ট্রেনিং পরিচালিত হবে। ’ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সমানভাবে রয়েছে বলে তিনি জানান।
ইভদাদ আহমেদের পর মঞ্চে আসেন বিওয়াইএলসির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে নির্বাচিত ৪৩ জনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। নেতৃত্ব বিষয়ক কর্মশালা শুরু করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরে আসি; দেশের মানুষের জন্য কিছু করবো এমন চিন্তা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খেত। তখনই এ কাজটি শুরু করি। ’ এছাড়া নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মা-বাবার প্রতি তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি ভাবেন এটা কোনো জনসেবা। তাহলে ভুল করবেন। আপনার সন্তানের জন্য এটি সম্পূর্ণরূপে একটি কোর্স। এই কোর্সের মাধ্যমে সে নিজেকে খুঁজে পাবে। ’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বক্তব্যের শুরুতেই আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচিত এ ৪৩ জনই দেশকে বদলে দেবে। তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব প্রতিভা সবার ভেতরই থাকে। এটা সহজাত। তবে প্রয়োজন সঠিকভাবে প্রতিটি মানুষের ভেতর থেকে বের করে আনা। শৃঙ্খল প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো প্রতিভা বের করা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডাশিপ সেন্টারের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা করার মতো। ’
ড. শিরিন শারমিন মনে করেন নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজন মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ স্থাপন। যোগাযোগ ছাড়া কেউ কখনো কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে আমাদের তরুণ নেতৃত্ব। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণ প্রজন্মের ভুমিকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি আমেরিকান সেন্টারের পরিচালক মিস লরেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার এখন পর্যন্ত সাতবার এধরনের ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছে। এটি ছিল অষ্টম লিডারশিপ ট্রেনিংয়ের উদ্বোধনী পর্ব। আগামী চার মাস বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্বাচিতদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকবে কমিউনিকেশন স্কিল, নানা বিষয়ের উপর ওয়ার্কশপ, যে কোনো একটি সমস্যার সমাধান বের করা বা কেইস স্ট্যাডি। আর এই পুরো প্রোগ্রামটির অর্থায়ন করছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
বাংলাদেশ সময় ০০০৯, নভেম্বর ১৩, ২০১১