ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

সিগন্যাল লিমিটেড, আইডিয়াস আনলিমিটেড

একেএম ফয়জুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২১, নভেম্বর ১৪, ২০১১
সিগন্যাল লিমিটেড, আইডিয়াস আনলিমিটেড

যুগটা হলো নেটওয়ার্কিংয়ের। নেটওয়ার্কের জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো ইন্টারনেট সংযোগ সহ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি।

টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই এগুলো উঠে আসে। যারা প্রযুক্তির এই নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন তাদের কাছে শুধু একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে সব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি হয়ে পড়ে। পাঠ্য পুস্তকেই সব জ্ঞান থাকে না। প্রয়োজন হয় ক্লাসের বাইরেও কিছু জ্ঞান অর্জনের। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ‘টেলিকমিউনিকেশনস ক্লাব’।  

‘ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির টেলিকমিউনিকেশনস ক্লাব’ তাদের যাত্রা শুরু করে ২০০৬ সালে। যাত্রালগ্ন থেকেই এ ক্লাব চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করার। ক্লাবের মূল লক্ষ্য হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক আইডিয়াগুলো সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। এ স্বপ্নকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত ক্লাবটি আয়োজন করেছে ৬টি সেমিনার, ৮টি ওয়ার্কশপ, ৩টি ফিল্ড ট্রিপ। ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যে ২০১০ সালে আয়োজন করে ‘দ্রুত ইন্টারনেট ব্রাউজিং প্রতিযোগিতা’ এবং একই বছরই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দের সহযোগিতা ও ‘সন্ধানী’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে আয়োজন করে ‘রক্ত দান কর্মসূচী’। এই ক্লাবের আয়োজিত সেমিনার ও ওয়ার্কশপগুলো সাধারণত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং বিষয়গুলোও হয় সমসাময়িক আলোচিত প্রযুক্তি নিয়ে।

টেলিকমিউনিকেশন ক্লাবের এগিয়ে চলা নিয়ে কথা হয় প্রথম মডারেটর এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো: সারোয়ার জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ ক্লাব মূলত প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কাজ করে। আমি মনে করি আমাদের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল  টেলিকম প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ’

এই ক্লাবের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সব সময়েই সচেষ্ট থাকে। সেই উদ্দেশ্যেই তাদের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করতে সামনে একটি বড় একটি আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১২ সালে তারা আয়োজন করতে চায় ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি টেলিকমিউনিকেশন ফিস্ট (আই ইউ টি এফ)’। যেখানে দেশের তরুণরা; বিশেষ করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ে যারা পড়াশোনা করছে তারা প্রতিভা ও যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবে। আর এই ধরনের আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো টেলিকমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ে সবার মধ্যে জ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি করা এবং এ বিষয়ে গবেষণার আগ্রহ গড়ে তোলা।

ক্লাবের ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর মো: আবরার জাহিন আলমাজী বিপন বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। আমরা সব সময়ই বড় কোন কিছু করতে চাই যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আমাদের দেশের প্রয়োজনে আসবে। আমরা যদি আমাদের ক্লাবের আসন্ন কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারি তবে আমি মনে করি, টেলিকম সেক্টরে আমাদের দেশি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠন আরো সহজ হবে। আমরা সবসময় প্রযুক্তির বিশ্বে একসাথে থাকতে চাই, পিছিয়ে নয়। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ক্লাবের গুরুত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের বাইরে জ্ঞান অর্জন; এমনকি নিজেকে বিকশিত করার সুযোগ থাকে এ ক্লাবগুলোতে। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির টেলিকমিউনিকেশনস ক্লাবটির মূলনীতি হলো, ‘লিমিটেড সিগন্যাল, আনলিমিটেড আইডিয়াস’। এ আনলিমিটেড আইডিয়া নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় এই ক্লাবের সব সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।