ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

নড়াইলে রাস উৎসব

শরিফুল ইসলাম, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪০, নভেম্বর ১৪, ২০১১
নড়াইলে রাস উৎসব

হাজারো ভক্ত আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় নড়াইলে শেষ হলো পাঁচ দিনব্যাপী রাস উৎসব। শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব হলেও শ্রী শ্রী ত্রিভঙ্গ চরণ দাস (বাবাজি) নামে এক সাধককে ঘিরে নড়াইলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।



সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,  নড়াইল শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে শেখহাটি ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম দেবভোগ। এ গ্রামেই ভারতের বৃন্দাবন থেকে ১৯৭৬ সালের দিকে শ্রী শ্রী ত্রিভঙ্গ চরণ দাস (বাবাজী) নামে এক সাধুর আবির্ভাব হয়। তিনি মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে দিতেন এবং অলৌকিকভাবে মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেত তার কাছ থেকে। এভাবে মানুষ ধীরে ধীরে তার ভক্ত হতে থাকে। এর কয়েক বছর পর ১৯৮২ সাল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রতি বছর ২২ কার্তিক থেকে এখানে রাস উৎসব পালন শুরু করেন তিনি।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২২ থেকে ২৭ কার্তিক ৫ দিন এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আগে এ অনুষ্ঠান স্বল্প পরিসরে হলেও বর্তমানে এখানে শ্রী শ্রী ভাগবৎ সেবশ্রম সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এর অধীনে ৫ একর জায়গাজুড়ে হাজার হাজার মানুষ এ উৎসবে হাজির হয়। এ উৎসবকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা আসেন তাদের মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বাবাজীর সাথে দেখা করতে। ভক্তরা খুশি বাবাজীর সাথে দেখা করতে পেরে, খুশি মেলায় আসতে পেরে দর্শনার্থীরাও।

স্থানীয় সুকান্ত কুমার মৈত্র বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর এখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাবাজীর ভক্তরা এখানে বাবাকে দেখার জন্য আসেন।

ভক্ত লাবণ্য দাস বলেন, আমরা আমাদের মনবাসনা পূরণ করার জন্য এখানে আসি। বাবাজীর আশীর্বাদে তা পূর্ণ হয়।
আরেক ভক্ত অমূল্য রায় বলেন, শুধু দেশের বিভিন্ন জেলা নয়, দেশের বাইরে থেকেও অনেক ভক্ত আসে বাবাজীর এ রাস উৎসবে।
মেলায় আসা ব্যাবসায়ী রফিক ও আশোক দাস বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ বাবাজীর এ উৎসবে ব্যবসা করে আসছি।

মেলা কমিটির সভাপতি গোবিন্দপদ বকশী বলেন, রাসমেলাকে ঘিরে আমাদের এলাকায় প্রতি বছর উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।

শ্রী শ্রী ত্রিভঙ্গ চরণ দাস বাংলানিউজকে বলেন, রাস উৎসব প্রথম দিকে স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও দিন দিন তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব শেষ হয়েছে।

স্থানীয় শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাসুম বাংলানিউজকে  বলেন, বাবাজীর এ উৎসব হিন্দু ধর্মবলম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে হলেও এখানে সব ধর্মের মানুষ রাস উৎসবে মেতে ওঠে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।