ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

শাবির সংগঠন স্বপ্নোত্থান

শামসুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২০, নভেম্বর ২৩, ২০১১
শাবির সংগঠন স্বপ্নোত্থান

সিলেটের খাদিমনগরে গেলে দেখা যাবে মহিলাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। সেখানে প্রতিবন্ধী মহিলাদের দিকে একঝাঁক তরুণ বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়; সভ্য সমাজ যাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে এবং যাদের পতিতা বলে সরিয়ে রাখা হয় তাদের জন্যও নিবেদিত প্রাণ । ‘মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখো’ এমনই শ্লোগান নিয়ে বঞ্চিতদের পাশে থাকে স্বপ্নোত্থানের বন্ধুরা।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টায় ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু হয় স্বপ্নোত্থানের।

শুরু থেকেই সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে কাজ করছে স্বপ্নোত্থানের বন্ধুরা। নারী-শিশু সব সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য স্বপ্নোত্থানের রয়েছে বাগবাড়ি শিশু পরিবার, সোনামনি নিবাস, রায়নগর শিশু পরিবার, রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়, বর্ণমালা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বীরেশ চন্দ্র নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়।

বাগবাড়ি শিশু পরিবারে ৬-১৮ বছর বয়সের ছেলে শিশু, সোনামনি নিবাসে ০-৬ বয়সের শিশু, রায়নগর শিশু পরিবারে ৬-১৮ বছরের মেয়ে শিশু বাস করে যাদের সামাজিক পরিচয় এতিম;  স্বপ্নোত্থান এখানে পাঠদানের পাশাপাশি তাদেরকে বাস্তব জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়। রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শির্ক্ষাথীদের মধ্যে ঝরে পড়ার প্রবণতা রোধে কাজ করছে স্বপ্নোত্থান। দিনে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা; রাতে স্বপ্নোত্থানের সহযোগিতায় এরা পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। বর্ণমালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী ও বীরেশ চন্দ্র নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্ঠম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে  স্বপ্নোত্থান।

স্বপ্নোত্থানের বন্ধুদের তাদের সফলতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বলে, ‘সফলতা হলো মানুষের ভালোবাসা। আমাদের সবাই ভালোবাসে। ’  তবে তাদের নির্মিত স্কুলের সফলতাই মুখ্য। ২০১১ সালে ভোলানন্দ নৈশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১২ জন অংশগ্রহণ করে ১০ জন পাশ করেছে। এ সফলতায় তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন।

প্রধান সমন্বয়ক দীপংকর রায় জানান, ‘মৌলিক অধিকার ‘শিক্ষা’ থেকে বঞ্চিত কর্মজীবী শিশুদেরকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য কাজ করছি আমরা। মানুষ বেঁচে থাকে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। আর সেই সঙ্গী তৈরির কাজটাই করছে স্বপ্নোত্থান। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।