১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম ছিল ‘এ গণবিস্ফোরণ মেশিনগানেও স্তব্ধ করা যাইবে না ’। রক্ত গরম করা এ লাইনটি বঙ্গবন্ধুর।
বৃহস্পতিবার বিজয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে প্রদর্শনী ‘ফিরে দেখা ৭১’ শুরু হয়।
‘ইতিহাস মানুষের দেশপ্রেম বাড়িয়ে দেয়। এ কথা আমরা সবাই জানি। ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের আগ্রহ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আর তাই আইইউবির এ ধরনের উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার করার মতো। ’ এ কথা বলছিলেন আইইউবির প্রদর্শনীতে ঘুরতে আসা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশিক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও এমন ভিন্ন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ওমর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস জানার জন্য বর্তমান প্রজন্মের সামনে এমন আয়োজন মুগ্ধ করার মতো। ’ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তৌহিদ সামাদ। তিনি বলেন, ‘একটি প্রজন্ম যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। কিন্তু আমরা কী স্বাধীনতা পেয়েছি? তবে হয়তো বর্তমান প্রজন্ম যুদ্ধ নয়; ভালোবাসা দিয়ে, প্রেম দিয়ে নিজের স্বাধীনতার স্বাদ অর্জন করতে পারবে। ’

প্রদর্শনী স্থল খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ভীড় করে শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা। সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় বাইরে থেকেও বহু মানুষ প্রদর্শনী স্থল ঘুরে যাচ্ছেন।
এমন প্রদর্শনী আয়োজন সম্পর্কে আয়োজক স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারি অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ‘সংবাদপত্র ইতিহাসের অন্যতম ধারক। সংবাদপত্র পড়লে তৎকালীন সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়। আমার মনে হয় শিক্ষার্থীরা ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যেতে পারবে। ’
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আয়োজিত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত এবং চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ছবি: হাসিবুল হাসান ফাহিম
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১