হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে....’ এই মধুর গানটি আজও সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি মানুষেরই হারানো দিনের স্মৃতি তাকে পিছু ডাকে। রঙধনুর রঙে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবুবজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগ চত্বর সেজেছিল।
বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো জমকালো আনন্দ-বেদনার ‘ফ্রেশার’স অ্যান্ড গ্র্যাজুয়েশন ফেস্টিভাল-২০১১’। ভালোবাসার রঙে মন রাঙিয়ে উৎসবে মেতেছিল পুরো বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বড়-ছোট সবাই ছিল ফুর্তির আমেজে। সবাই সেজেছে নানান পোশাকে। জীবনের অন্যতম অধ্যায় হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে খচিত হয়ে থাকবে এই দিনটি। সত্যি বলতে এ অনুভূতি প্রকাশ করার কোনো ভাষা নেই! এভাবেই বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবুবজ্ঞান অনুষদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিদায়ী শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আলী, বাসুদেব রুদ্র, জাকির হোসেন এবং জিনাত ফারজানা।
সকাল থেকেই বিভাগের হল রুমে একে একে শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুরে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো: আনোয়ারুল আজিম আরিফ ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ আমাদের শিক্ষার্থীরা শৃংখলাপূর্ণ জীবন গঠনে অধিকতর মনোযোগী হয়ে দেশের যোগ্যতর ভবিষ্যত কর্ণধার হয়ে গড়ে উঠবে এমনটাই আমরা স্বপ্ন দেখি। এ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তাদেরকে অধিকতর মনোযোগী হতে হবে। কারণ প্রযুক্তির সর্বশেষ উৎকর্ষ এ বিভাগের নানা ক্ষেত্রে মানব সমাজের জন্য বয়ে আনতে পারে অযুত সম্ভাবনা।
পরে উপাচার্য বিভাগের কৃতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আল ফোরকান এবং ড. লুলু আল মারজানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও ‘সাবজেক্ট অব এক্সিলেন্স’র জন্যেও বিভাগের সেরা ৫জন শিক্ষার্থী বাসুদেব রুদ্র, জাকির হোসেন, ইয়াসমিন আলী, জিনাত ফারজানা, ওমর ফারুককে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজীনা আকতার ও সিজামীন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী আকর্ষন ছিল বাউল শিল্পী মানস পালের গাওয়া ‘বাউল গান’।
সন্ধ্যায় হবে ফ্যাশন ইভেনিং, নাটক ‘চাটগাঁইয়্যা বিয়া’ এবং সবশেষে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান বিষয়ে বিভাগের প্রভাষক আদনান মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ‘পুরো অনুষ্ঠানকেই অন্যরকমভাবে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বেই চমকপ্রদ কিছু বিষয় রয়েছে। ’
নেই কোনো অভিমানী মুখ, নেই কোনো দুঃখ । এ যেন আত্মহারা আনন্দ। এ এমন এক আনন্দ, এমন এক আকুলতা, যা সতীর্থের সঙ্গে দীর্ঘ বিচ্ছেদকেও হার মানায়। সকলের হৃদয়েই এ স্মৃতি অম্লান হয়ে থাকবে সারাজীবন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১১