রঙতুলির আঁচড়ে নানা মাধ্যমের ওপর বিষয় বৈচিত্রে পরিপূর্ণ শিল্পকর্ম তৈরি মূলতঃ চারুশিল্পীদের কাজ। কিন্তু চিত্রশিল্প নিয়ে যাদের কারবার এ সংবাদে তারা বেশ চমকে যাবেন, কেউ কেউ হয়তো বিব্রতও হবেন।
‘পকেট্স ওয়্যারহল’ নামের এ বানরের বেশ কয়েকটি পেইন্টিং ইতিমধ্যে বিক্রিও হয়ে গেছে (২৫০ পাউন্ড দামে)। তার আঁকা পেইন্টিংগুলোকে পেইন্টিংয়ের একটি জনপ্রিয় ধারা অ্যাবসট্রাক্ট (বিমূর্ত) পেইন্টিং বলে গন্য করা হচ্ছে। পৃষ্ঠপোষক মতে মি. পকেট্স (পকেট নয়!) অঙ্কিত এসব পেইন্টিংয়ের কদর বোঝার জন্যও নাকি চাই চাই ঊঁচুমাত্রার শিল্পজ্ঞান! আর এ কারণে তার পেইন্টিংগুলোর বেশিরভাগই বিক্রি হচ্ছে সুদূর ইউরোপ এবং ইসরাইলে!
তবে; সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় জনপ্রিয় পপ শিল্পী অ্যান্ডি ওয়্যারহলের নাম অনুসারে বানরটির নাম রাখা হলেও তার আঁকা পেইন্টিংয়ের সাথে চিত্রশিল্পী জ্যাকসন পল্লক এর আঁকা চিত্রকর্মের অনেকটা মিল লক্ষ্য করা যায়।
পকেট্স নামে সমধিক পরিচিত এই বানরটি কানাডার স্টোরি বুক ফার্ম’ নামের বানরদের অভয়াশ্রমে বসবাস করছে। মাত্র ২ বছর আগে তাকে সেখানে আনা হয় বলে জানিয়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
দেখতে ছোট আকৃতির সাদা-কালো মিশ্র রঙের এবং মূলতঃ ‘হুয়াইট ক্যাপ্ড ক্যাপুচিন মাঙ্কি’ গোত্রের পএ পাণীটির চিত্রশিল্পে হাতেখড়ি বছরখানেক আগে। কারমিন কুইন নামের এক সেচ্ছাসেবী তখন তাকে শিশুদের চিত্রাঙ্কনের উপযোগী কিছু নন টক্সিক রঙ কিনে দেন।
সেদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কুইন বলেন- পকেট্স খুবই চটপটে আর খেলোয়ারী মনের অধিকারি। রঙগুলো পেয়ে সে খুব খুশী হয় এবং তার হাত পায়ে মাখাতে শুরু করে। কখনো কখনো সে ওগুলো খেয়েও ফেলতো!
তবে; এখন আর সে অমনটা করে না। পকেট্স এখন ছবি আঁকে তার হাত, পা, লেজ এবং কখনো রীতিমত চিত্রশিল্পীদের মতো তুলিতে রঙ মাখিয়ে।
পকেট্স এর আশ্রয়দাতা সংস্থা স্টোরি বুক ফার্ম’ জানিয়েছে- আগামী ২ মাসে পকেট্স এর আঁকা ৪০টি টিত্র নিয়ে টরন্টোতে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। তার অঙ্কিত চিত্রগুলো থেকে আয় করা অর্থ বানরদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১১