ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

প্রতিবন্ধীদের পাশে মুক্তিযোদ্ধারা

ওয়ালিউল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৭, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১
প্রতিবন্ধীদের পাশে মুক্তিযোদ্ধারা

একদিন দেশ রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন। দেশকে এবং দেশের মানুষকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন দেশ।

এ ঋণ কোনভাবেই শোধযোগ্য নয়। তারা এখনো যুদ্ধ করে চলেন। এখনো দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। তারা এখনো দেশের অসহায় মানুষের দুঃখ অনুভব করেন। যার দৃষ্টান্ত দেখা যায় মানিকগঞ্জ জেলার আটিগ্রামে। দশজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবন্ধীদের মেধার বিকাশ, সেবা প্রদান ও উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন।

প্রতিবন্ধীদের কল্যানের লক্ষে ওই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘ ফ্রেন্ডলি সেন্টার ফর স্পেশাল নিড পার্সন’ কতৃক আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তারা এ দায়িত্ব নেন।

‘করুণা কিংবা মানবিকতার নয়; আসুন আত্মার সম্পর্ক গড়ে তুলি’ স্লোগানকে ধারন করে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের সোনারগাঁ স্কুল মাঠে বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক  ড. মো: খালেদ হোসাইন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরূদ্ধ কাহালী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক লোপামুদ্রা, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ইকবাল হোসেন কচি, আটিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর এ আলম, ফ্রেন্ডলি সেন্টার ফর স্পেশাল নিড পার্সনের আহ্বায়ক রবিউল করিম প্রমুখ।

প্রধান অতিধির বক্তব্যে অধ্যাপক খালেদ হোসাইন বলেন, ‘সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠন করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে। সমাজের একটি বড় অংশ আমাদের এই প্রতিবন্ধী সন্তানেরা। এই বড় অংশকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের সকল পর্যায় থেকে এদের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। ’

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন হলেও এখনো পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। শহর অঞ্চলে প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যানের বিষয়ে কিছু কাজ হলেও গ্রামের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীরা উপেক্ষিত হচ্ছে।   আমরা মিলে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করলে তারাও দেশ ও জাতির উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে। ’

প্রধান অতিথি ও মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ারসহ অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধীকে শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করেন। এছাড়া গ্রামের সকল প্রতিবন্ধীদের মেধার বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার দশজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।


বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।