বিজয়ের আনন্দ এখন দেশজুড়ে। গতকাল থেকেই এ বিজয়ের চল্লিশ বছর পালন করছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
তাদের একটিই প্রশ্ন, ‘কবে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার?’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: খালেদ হোসাইন বলেন, ‘স্বাধীনতার চল্লিশ বছর হলেও আমরা এখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারিনি। একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে কিন্তু সেই দিন আর কোন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকবে না। সেক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেও খুব একটা লাভ হবে না। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিব বলেন, ‘বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় এবং তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। কিন্তু ক্ষমতায় আসার তিন বছর অতিবাহিত হলেও আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তেমন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। ’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘অনেক দেরীতে হলেও এই ভেবে আনন্দ লাগছে যে বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরেছে। আশা করি এই সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতে পারবে। ’
একজন মুক্তিযোদ্ধা অশ্রুসিক্ত নয়নে বলছিলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিজের চোখে যুদ্ধাপরাধীদের জঘন্য কাজ করতে দেখেছি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নাই। তাদের বিচার না করতে পারলে জাতির আসল মুক্তি অর্জিত হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কবে হবে সেটার দিকে শুধু চেয়ে আছি। ’
এবারের বিজয় দিবসে অসংখ্য তরুণের মুখে মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গটি। একজন তো বলছিলেন, ‘যদি সরকার বিচার না করতে পারে; তবে আমরাই এর বিচার নেব। আমাদের প্রজন্মই করবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১১