সূরা বাকারা
মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত ২৮৬
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১. আলিফ লাম মীম।
তাফসির
সুরা বাকারার ফজিলত
এই সুরা অনেক হুকুম আহকাম সম্বলিত সবচেয়ে বড় সুরা। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, সুরা বাকারা পাঠ করো। কারণ এর পাঠে বরকত লাভ হয় এবং পাঠ না করা অনুতাপ ও দুর্ভাগ্যের কারণ। যে ব্যক্তি এই সুরা পাঠ করে তার ওপর কোনো আহলে বাতেল তথা জাদুকরের জাদু কখনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সুরাকে সিনামুল কোরআন ও যারওয়াতুল কোরআন বলে উল্লেখ করেছেন। সিনাম ও যারওয়াহ বস্তুর উৎকৃষ্টতম অংশকে বলা হয়। সুরা বাকারায় আয়াতুল কুরসি নামে যে আয়াতখানা রয়েছে, তা কোরআন শরিফের অন্যান্য সকল আয়াত থেকে উত্তম। -ইবনে কাসির
হযরত ইবনে মাসউদ (রাযি) বলেছেন, এ সুরায় এমন দশটি আয়াত রয়েছে, কোনো ব্যক্তিযদি সেই আয়াতগুলো রাতে নিয়মিত পাঠ করে, তবে শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবং সেই রাতের মতো সকল বালা-মসিবত, রোগ-শোক ও দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
তিনি আরো বলেছেন, যদি বিকৃত মস্তিষ্ক লোকের ওপর এ দশটি আয়াত পাঠ করে দম করা হয়, তবে সেই ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করবে। আয়াত দশটি হচ্ছে, সুরার প্রথম চার আয়াত, মধ্যের তিনটি অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি ও তার পরের দুটি আয়াত এবং শেষের তিনটি আয়াত।
আহকাম ও মাসাইল
বিষয়বস্তু ও মাসাইলের দিক দিয়েও সুরা বাকারা সমগ্র কোরআনে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার অধিকারী। এই সুরায় এক হাজার আদেশ, এক হাজার নিষেধ, এক হাজার হেকমত এবং এক হাজার সংবাদ ও কাহিনী রয়েছে।
চলবে...