ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

জাবি ২২তম ব্যাচের প্রথম পুনর্মিলনী

ওয়ালিউল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৫, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১
জাবি ২২তম ব্যাচের প্রথম পুনর্মিলনী

সকাল থেকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন পুরানো শিক্ষার্থীদের আগমনে মুখোর হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে করা হয়েছিল আলোকসজ্জা, লাগানো হয়েছিল বেলুন আর ফেস্টুন।



উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম ব্যাচের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে কেউ আসেন ছেলে-মেয়ের হাত ধরে আবার কেউ আসেন নববধুকে সঙ্গে নিয়ে। চারদিকে শুধু আনন্দ আর উল্লাস। সবার চোখে মুখে ভাসছিল কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া ছাত্রজীবনের মধুর স্মৃতি।

দীর্ঘদিন পর পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে খোশ গল্পে মেতে উঠতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের নাচ-গান, হৈচৈ, আড্ডা, স্মৃতিচারণে জমজমাট ছিল পুরো ক্যাম্পাস। পুরোনোরা যেন ক্ষণিকের জন্য ফিরে পেয়েছিলেন তাদের ছাত্র জীবন। বর্তমান ছাত্ররা শুনলেন সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যগাথা জীবনের ইতিহাস।

শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় টিএসসি চত্বরে ‘মেগা পুনর্মিলনী’ নামে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কখনো পুরনো হয় না। কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে দেশে-বিদেশের নানা জায়গায় অবস্থান করলেও নাড়ীর টানে সবাই প্রিয় ক্যাম্পাসে ছুটে আসেন। ’

তিনি ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও গৌরব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বাহারি রঙের শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর মুক্তমঞ্চে স্মৃতিচারণ, নিজেদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি খেলাধুলা, ছোট্টদের খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র এবং সবশেষে ব্যান্ডদল ‘গানওয়ালা’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নাগর দোলায় চড়া, সাপ খেলা, বানর খেলা দেখা এবং পিঠাপুলির ব্যবস্থা করা হয় এই পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে।  

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জায়েদা শারমিন স্বাতী বলেন, ‘সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ছুটি শেষ হওয়া মাত্রই আমার সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাস উপভোগের জন্য দেশে ফিরে এসেছি। আমি যেখানেই থাকি না কেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমার সবচেয়ে প্রিয় স্থান। বারো বছর পর বন্ধুদের দেখা পেয়ে আমি যারপরনাই খুশি। ’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সায়েমা খাতুন বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে এ দিনটির প্রতীক্ষায় ছিলাম। বন্ধু এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে ভালো লেগেছে। ’ ইংরেজি বিভাগের সাদ্দাম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। তিনি এ পুনর্মিলনী উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা। এ ব্যাচের শিক্ষার্থী লিমন, রাব্বি, আজিজ, জয়ন্ত  জানান, সবার অংশগ্রহণের ফলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে।

এছাড়া ২২তম ব্যাচের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে যোগদেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক সালাউদ্দিন মীম, দৈনিক জনকণ্ঠের সহকারি সম্পাদক ড. হারুন অর রশীদ, ভোরের কাগজের সাহিত্য সম্পাদক রনজু রাইম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব তুষার প্রমুখ।

২২ তম ব্যাচের প্রায় সাড়ে আট শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়ে ছয় শ জনের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে বলে আয়োজক সুত্রে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।